স্থান নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে কিছুটা শঙ্কা দেখা দিলেও সব ধরণের শঙ্কা কাটিয়ে রাজধানীর আবাহনী মাঠে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভাল ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসব-২০১৭’। গত ৫ বছর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে এই উৎসব হলেও এবার হচ্ছে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে। এটা স্বীকার করতে হবে যে, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের এই উৎসব মানুষের মনে খুব ভালো ভাবেই জায়গা করে নিয়েছে। এটা তাদের মনে এতোটাই জায়গা করে নিয়েছে যে, প্রতি বছর এটার জন্য প্রতীক্ষায় থাকেন সবাই। প্রতি বছর দর্শক-শ্রোতার সরব উপস্থিতি এবং সুরের মুর্ছনায় মাতোয়ারা হওয়ার মধ্য দিয়ে বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রমাণিত। দেশি-বিদেশি শিল্পীরা সুর-তাল-ছন্দের ঝংকারে আগের বছরগুলোতে এখানে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আমরা আশা করি। বিশ্বমানের এমন একটি সঙ্গীত উৎসব নিশ্চয়ই বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে আলাদা খ্যাতি এনে দিয়েছে। সঙ্গীতপ্রিয় জাতি হিসেবে আমাদের নাম দেশের বাইরে উচ্চারণের একটি অন্যতম উপলক্ষ এই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসব। এছাড়া মানুষের কাছে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে পৌঁছাতে পারলে তারা যে এখনও এটা সাদরে গ্রহণ করেন, তার প্রমাণ এই উৎসব। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য আশার খবর। বিশ্বজুড়ে ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসবাদের উত্থানের এই সময়ে বিশেষ করে সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজের কাছে শিল্প সংস্কৃতির প্রসারের মাধ্যমে তাদেরকে এই সন্ত্রাসবাদের অন্ধকার পথ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। তাই এই উৎসবের পাশাপাশি দেশজুড়ে এমন উৎসব আরও বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে দেয়া দরকার বলে আমরা মনে করি। এজন্য সরকারি, বেসরকারি এমনকি ব্যক্তিপর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমরা শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা করা প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পারবো। স্থান পরিবর্তনের পরও বেঙ্গলের এই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত আসর অব্যাহত থাকুক, বিদগ্ধ শিল্পপ্রেমিদের জন্য।আমরা বিশ্বের সবচেয়ে এই বড় ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভালের সাফল্য কামনা করি।