পাবনার ঈশ্বরদীর পর এবার লিচুর ভালো ফলন হয়েছে গয়েশপুর ইউনিয়নে। আধুনিক পদ্ধতিতে লিচু বাগান করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এক সময়ের বেকার আবদুল লতিফ। এলাকায় এখন তিনি ‘লিচু লতিফ’ নামেই পরিচিত।
পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের জোয়ারদহ গ্রামের আবদুল লতিফ। স্নাতক পাশ করার পর কোনো চাকরির জন্য অপেক্ষা করেননি তিনি। অন্যের কাছ থেকে এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে শুরু করেন লিচু চাষ। সাথী ফসল হিসেবে চাষ করেন সবজির।
সফল লিচু চাষি আবদুল রতিফ জানান, কোনো প্রকার ট্রেনিং ছাড়াই শুধুমাত্র কৃষি সম্প্রসারন ও কৃষি গবেষণার কাজ থেকে জ্ঞান অর্জন করে লিচু চাষ করা শুরু করি। সবসময় লিচু বাগানের সার্বিক পরিচর্যার সহযোগিতা আমার স্ত্রী করে থাকে।
আব্দুল লতিফের স্ত্রী রূপালী খাতুন বলেন, লিচু, আম চাষের পাশাপাশি সবজি চাষ করা হচ্ছে। আমি মূলত সবজি চাষ করার সময় তাকে সহযোগিতা করি।
আবদুল লতিফের বাগান পরিদর্শন করে সস্তোষ প্রকাশ করেছে কৃষি বিভাগের তথ্য অফিসার এ টি এম ফজলুল করিম।
তিনি বলেন, অাব্দুল লতিফের প্রত্যেকটা বাগানে প্রচুর লিচু ধরেছে। সে হিসেবে লিচু চাষ করে তিনি এলাকার মডেল হতে পারবে। তার দেখাদেখি এ এলাকায় লিচু চাষের একটি নিরব বিপ্লব ঘটেছে। লিচু চাষ করে এ এলাকার অনেকেই বেশ লাভবান হয়েছে।
আবদুল লতিফের লিচুর বাগান দেখে উগ্রগড়, চক-উগ্রগড়, জোয়ারদহ, জয়কৃষ্ণপুর ও অন্য এলাকার চাষিরা আগ্রহী হয়েছেন লিচু বাগান করতে।