চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার থেকে চালু হচ্ছে কলকাতা মেট্রো ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট

দুই মাস যাবত করোনাভাইরাস ঠেকাতে লকডাউন থাকায় বন্ধ ছিল কলকাতার মেট্রোরেল এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট গুলো। তবে বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর সকাল থেকে দিল্লি থেকে একটি ফ্লাইট আসে কলকাতায়। অন্যদিকে ভারতের গুয়াহাটি যায় আরেকটি ফ্লাইট।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস থেকে জানা যায়, লকডাউন শুরু হওয়ার পর সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় কলকাতা মেট্রো চলাচল। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল। তবে থাকবে না কোনও যাত্রী। থাকবেন শুধু মেট্রো রেলের কর্মীরা।

নিয়ম মেনে প্রতিটি স্টেশনে থামবে ট্রেন। মেট্রো রেলের কর্মীরা স্টেশনে নেমে দেখবেন যে সব যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক চলছে কি না। এর পর কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিলেই যাত্রীদের জন্য শুরু হবে মেট্রো সেবা।

কলকাতা মেট্রোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘২ মাস ধরে ট্রেন চলে না। তাই সব যন্ত্রপাতি কী অবস্থায় রয়েছে তা একবার দেখে নেওয়া দরকার।’

সরকার থেকে ট্রেন চালানোর অনুমতি না মিললেও যাত্রীদের জন্য ইতিমধ্যে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের কড়া বিধি ঘোষণা করেছে মেট্রো।মেট্রো স্টেশনে ঢুকতে গেলে মাস্ক মাস্ট। সঙ্গে মানতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যাংসিংয়ের বিধি।। এছাড়া যাত্রী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কমনো হবে টিকিট কাউন্টার।

ভারতীয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ব্যাপারে জানা গেছে, প্রাথমিক ভাবে  সারা দিনে ১০টি ফ্লাইট আসবে ও ১০ টি ফ্লাইট যাবে। ধীরে ধীরে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়বে।

পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে করোনা কবলিত রাজ্যগুলি থেকে যারা আসছেন, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে ১৪ দিনের জন্য।

এমনকি ভারতের  মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, গুজরাত, দিল্লি ও তামিলনাড়ু থেকে যারা ফিরবেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন থাকতে হবে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে।

বাকি রাজ্য থেকে যারা আসবেন তাদের মধ্যে কোনও উপসর্গ না থাকলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বাড়িতে। সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের। আর যাদের পজিটিভ ধরা পড়বে তাদের পাঠানো হবে হাসপাতালে।