কখনো থেমে থেমে, কখনো টানা। ওভাল টেস্টে বৃষ্টি বাগড়া দিচ্ছে প্রথম দিন থেকেই। তৃতীয় দিনেও সেটা বহাল থাকল। ভেসে গেল পুরো একটি সেশনও। এর মাঝেই দ্বিতীয় ইনিংসে লিডটা ২৫২-এ টেনে নিয়েছে ইংল্যান্ড। হাতে ৯ উইকেট অক্ষত, দিন বাকি পুরো দুটি।
কেনিংটন ওভালে বেন স্টোকসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে থামে ইংলিশরা। জবাবে অভিষিক্ত টোবি রোল্যান্ড-জোন্স ঝড়ে সাউথ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ১৭৫ রানে। সেখান থেকেই ১৭৮ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। সঙ্গে যোগ হয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে তোলা ৭৪ রান। শনিবার ৫৮.৪ ওভারের খেলা বৃষ্টির পেটে গেছে!
চতুর্থ দিনে কিটন জেনিংস ৩৪ ও টম ওয়েস্টলি ২৮ রানে লিড বাড়িয়ে নিতে নামবেন। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে অ্যালিস্টার কুককে (৭) হারায় ইংল্যান্ড। এই উইকেটটি দারুণ এক অভিজ্ঞতা মরকেলের জন্য। কুক যে এখন তার বানি।
ক্রিকেটে কোনও বোলারের বলে সবচেয়ে বেশিবার আউট হওয়া ব্যাটসম্যানকে বলা হয় ওই বোলারের বানি। মরকেল এই নিয়ে ১১ বার টেস্টে সাজঘরে পাঠালেন কুককে। কুকও প্রথমবারের মত মরকেলের বলে বোল্ড হয়েছেন এদিন।
এর আগে সকালে আরেকদফা অভিষিক্ত টোবি রোল্যান্ড-জোন্সের সাফল্যের গল্প। তার তোপেই ৮ উইকেটে ১২৬ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল সাউথ আফ্রিকা। এদিনও একটি উইকেট নিয়েছেন। ইনিংসে ১৬.৪ ওভারে ৫৭ রানে ৫ উইকেট তার।
২০০৯ সালে গ্রায়েম অনিয়ন্সের (৫/৩৮) পর প্রথম কোনও ইংলিশ পেসার হিসেবে অভিষেকে ৫ উইকেট নিলেন রোল্যান্ড-জোন্স। ৯১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৩৩৯ উইকেট নেয়ার পর টেস্টে অভিষেক। শুরুটা দারুণ হল বলা চলে ২৯ বর্ষী পেসারের। আগেরদিন ৪ উইকেট নিয়েছেন। তাতে এক সময় ৬১ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল প্রোটিয়ারা।
সকালে টেম্বা বাভুমা ৩৪ রানে ক্রিজ এসেছিলেন। ৫২ রানে থেমেছেন। মরনে মরকেলের ১৭ ও পেটের পীড়ায় রাতভর হাসপাতালে থেকে আসা ভারনন ফিনল্যান্ডারের অপরাজিত ১০ রানের পরও দুইশ ছুঁতে পারেনি প্রোটিয়ারা।
রোল্যান্ড ছাড়াও জেমস অ্যান্ডারসন ৩টি, ব্রড ও স্টোকস একটি করে উইকেট নিয়েছেন।