ঘড়িতে তখন সময় সকাল ৭টা বেজে ৪৫ মিনিট। ঘন মেঘে ঢেকে যায় রাজধানী ঢাকার আকাশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই মেঘ ভেঙে নামে বৃষ্টি। বৃষ্টির মাঝেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পাঞ্জাবি-টুপি পরে সুগন্ধি মেখে ছুটেছেন ঈদের নামায আদায়ে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বৃষ্টিতে ভিজে আদায় করেছেন ঈদের নামাজ।
তবে ঈদের দিনের এই বৃষ্টির আভাস আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিলো দু’দিন আগেই।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস চ্যানেল আই অনলাইন-কে জানিয়েছিলেন: ঈদের দিন রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ ছাড়া সারাদেশে হালকা অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই বৃষ্টি থাকবে না।
আর তাই স্বস্তির খবর হলো বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেঘ কেটে গিয়ে দেখা মিলবে সূর্যের।
তবে ভারী বৃষ্টি হলেও আগে থেকেই জাতীয় ঈদগাহে বিরূপ আবহাওয়া মোকাবিলার সকল ব্যবস্থা থাকায় মুসল্লিদের নামায আদায়ে সমস্যা হয়নি। নির্ধারিত সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম জামাত। তবে যানবাহন না থাকায় বৃষ্টির মধ্যে ঈদগাহ পৌঁছতে বেগ পেতে হয়েছে মুসল্লিদের।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে দেশের প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
সকাল পৌনে ৮টা থেকে শুরু হওয়া মুষলধারে বৃষ্টির মাত্রা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কমে আসে।
ঢাকাসহ এর আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টি হয়নি সকালে। তবে আগামী দু’দিন সারাদেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলছে আবহাওয়া অফিস।