বৃষ্টি, বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে চলতি বছরের জুলাই মাসে সবখাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাইয়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, যা জুনে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। জুলাই মাসে সব খাতে সার্বিকভাবেই মূল্যস্ফীতি আগের মাসের চেয়ে বেড়েছে।
এই মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে। গত মাসে এই খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিলো ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এছাড়াও বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলী, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতের মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া মার্চ মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জুলাই মাসে দেশের অনেক অংশে বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতির সঙ্গে কৃষি পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়েছে।
তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের কেনাকাটা বেড়ে যায়। গত মাসের শেষের দিকে ঈদের কেনাকাটা হয়েছে। এসব কারণে গত মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রকাশিত তথ্যমতে, জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে মে মাসে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুগ্ধজাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। মাসওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও চড়া হয়েছে।
এছাড়া গ্রামে জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশে, (জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ)। আর খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ (জুনে ছিল ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ)।
সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শহরেও, ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর পরিমাণ জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। শহরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আর খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা এর আগের জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।