বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। পর্যটকদের উচ্ছ্বাস যেন নব উদ্যমে রাঙ্গিয়ে তুলেছে কক্সবাজারকে। এতে করে সমুদ্র সৈকত ছাড়াও জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটকের পদভারে। দেশী-বিদেশী বিপুল পর্যটকের আগমনকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ঝিমিয়ে পড়া এখানকার পর্যটন শিল্প। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা। সর্তক রাখা হয়েছে লাইফ গার্ড কর্মীদের। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও হরতাল-অবরোধ না থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তৎপর ব্যবসায়ীরা।
দীর্ঘদিন পর পর্যটকদের পেয়ে খুশির ভাগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না বাস-মিনিবাস-রিক্সা-টমটম-সিএনজি থেকে শুরু করে পরিবহণ সেক্টরও। এস আলম পরিবহনের কক্সবাজারের ইনচার্জ নুরুল আলম বলেন, অনেক দিন পর পুরো গাড়ীর সিট বিক্রির সুযোগ হয়েছে।
সাগরকন্যা কক্সবাজারে গত কয়েকদিন ধরে আশাতীত পর্যটকের আগমন হওয়ায় দীর্ঘদিনের লোকসান আর হতাশাকে কাটিয়ে নব উদ্যমে পর্যটন ব্যবসা চালু হয়ে উঠায় লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্যিক লেনদেন হবে জানিয়েন, কক্সবাজার ঝিনুক শিল্প বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি কাশেম আলী। তিনি আরো বলেন, এ সময়টার জন্য অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করে আসছিলাম।
এসময় কক্সবাজারে আগত পর্যটকরাও খুশি। সিলেটের বিয়ানী বাজার এলাকা থেকে আসা পর্যটক সাঈকি বলেন, বৃষ্টির মাঝে কক্সবাজার সৈকতে অন্য রকম মজা লাগছে। চট্রগ্রামের রাউজান গুজারা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি আলমগীর ও ফাহমিদা বলেন, আগেও কক্সবাজার এসেছিলাম, তবে এবারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বেশি ভাল লাগছে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কারণে ব্যাপক পর্যটক সমাগম হয়েছে বলে মনে করছেন পর্যটন বিশ্লেষক ফজুল কাদের চৌধুরী।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময় সর্তকাবস্থায় রয়েছে পুলিশ। পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের ছিনতাই কিংবা হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে এবং পর্যটক বেশে পুরুষ-মহিলা পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে লাইফ গার্ড কর্মীদের সর্তক রাখার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন।
পর্যটকরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ছুটে যাচ্ছেন ইনানী বীচ, হিমছড়ির অপরূপ ঝর্ণা, দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, দরিয়ানগর, রামুর নব-নির্মিত বৌদ্ধ বিহার, আদিনাথ মন্দিরের অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে।