রোববার সকাল থেকে রাঙামাটিতে মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাত হওয়ায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সংস্কার কাজ পুনরায় বিলম্বিত হচ্ছে। এ কারণে রাঙামাটি শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুছা জানিয়েছেন।
তবে রাঙামাটি-কাপ্তাই নৌপথে সীমিতভাবে যাত্রী, পণ্য ও জ্বালানী তেল পরিবহন শুরু হওয়ায় শহরে নাগরিক জীবনে সৃষ্ট সংকট দূর হতে শুরু করেছে বলে জানান রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান।
তিনি বলেন, রাঙামাটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের কোন ঘাটতি নেই। গত দু’দিন ধরে কাপ্তাই নৌপথে যাতায়াতের ব্যবস্থা চালু হওয়ায় রাঙামাটিতে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল এবং পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ থাকার দাবি করে গণমাধ্যমে খাদ্য ঘাটতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়া রাঙামাটি শহরের বাজারগুলোতে জ্বালানি তেলের সংকট নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
মানজারুল মান্নান বলেন, গত দু’দিনে ২৯ হাজার লিটার অকটেন রাঙামাটি শহরে পৌঁছেছে। সেইসঙ্গে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ বেড়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহের জেনারেটর ও পানি পরিশোধনের মোবাইল প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে।
রাঙামাটির ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের খাদ্য সরবরাহসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সুবিধা দিতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্টকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পার্বত্য এলাকায় দুইদিনের অবিরাম বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসে পাঁচ সেনা সদস্যসহ দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে।
লঘুচাপের প্রভাবে রোববার থেকে সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। গত সোমবার থেকে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-বান্দরবানে শুরু হয় পাহাড় ধস। এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাঙামাটি জেলা।