বিশ্বকাপের শুরুতে একের পর এক ম্যাচে হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। যার ফলে বৃষ্টি হানা দেয়া সাতটি ম্যাচের চারটিতে কোনো বলই মাঠে গড়াতে পারেনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যেটা সর্বোচ্চ। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া ম্যাচে দুদলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে। সেমিফাইনালেও চোখ রাঙাচ্ছে প্রকৃতি।
গ্রুপপর্বে বৃষ্টির কারণে বল গড়ানোর আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। দুই দল এক এক করে পয়েন্ট ভাগ করে নিয়েছিল। তাই চলতি টুর্নামেন্টে এখনো একে অপরের শক্তি পরীক্ষার সুযোগ পাননি কোহলি-উইলিয়ামসনরা। সেমিতে কি পারবেন?
ব্রিটিশ আবহাওয়া দপ্তর কিন্তু খুব একটা ভালো খবর দিচ্ছে না। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ম্যানচেস্টারের আকাশ মেঘলাই থাকবে। মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ, অর্থাৎ- ম্যাচ শুরুর ঠিক আধাঘণ্টা আগে বৃষ্টি হওয়ার ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।
সেক্ষেত্রে দেরি করে শুরু হতে পারে খেলা। বেলা একটার পর আকাশ পরিষ্কার হতে পারে। তাহলে পুরো ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। তবে একটা বিষয় ভালো যে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য একটি করে রিজার্ভ দিন রয়েছে। অর্থাৎ, মঙ্গলবার ম্যাচ বাতিল হলে বুধবার ফের খেলা হবে।
আবার ১১ জুলাই ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনালও ঝুঁকিতে! ব্রিটিশ আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, মঙ্গলবারের ম্যানচেস্টারের মতো বৃহস্পতিবার বার্মিহামের এজবাস্টনের আকাশও থাকতে পারে মেঘে ঢাকা। আরও জানাচ্ছে, শুধু বৃহস্পতিবার নয়, পরের দিন অর্থাৎ, ১২ জুলাইও মেঘ থাকতে পারে বার্মিহামে।
ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে ১৫ জুলাই। এবার প্রশ্ন হল, ৯ ও ১০ জুলাই সেমিফাইনালের দুদিনই যদি বৃষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে কী হবে? এমন পরিস্থিতিতে কিন্তু বিনাযুদ্ধে ফাইনালে পৌঁছে যাবে ভারত-অস্ট্রেলিয়াই। আর বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে পারে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের।
কারণ, শেষ চারে বৃষ্টির হলে নিয়ম বলছে…
* দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনালে থাকছে রিজার্ভ ডে। এছাড়াও প্রতিদিনই ১২০ মিনিট পর্যন্ত সময় বাড়ানো যাবে খেলা শেষ করার জন্য। তবে সব ম্যাচেই দুটি দলকে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতে হবে ফল হতে।
* কোনো ম্যাচ নির্ধারিত দিনে বৃষ্টি বা আবহাওয়ার কারণে শেষ না হলে রিজার্ভ ডে’তে আগেরদিন যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকেই শুরু করা হবে খেলা।
* কোনো ম্যাচ টাই হলে নিষ্পত্তি হবে সুপার ওভারের মাধ্যমে।
* কোনো সেমিফাইনাল বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হলে গ্রুপ লিগে যাদের পয়েন্ট বেশি ছিল, তারা ফাইনালে যাবে। এই নিয়মে ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে ফাইনালে যাবে ভারত। একইভাবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে ফাইনালে যাবে অস্ট্রেলিয়া।