জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালীন সময়েই হিযবুত তাহরীর সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে যুক্ত হন। বর্তমানে যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত আলফ্রেড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত আছেন তিনি।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের ঢাকা- পূর্ব শাখার দাওয়াহ বিভাগের প্রধান ও মিডিয়া শাখার অন্যতম সদস্য জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেররিজমের (এটিইউ) একটি বিশেষ দল।
এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকার বিরোধী লিফলেট, পোস্টার, ল্যাপটপ, ৪টি মোবাইল ফোন, প্রচুর সংখ্যক উগ্রপন্থি বই-পুস্তক উদ্ধারের জব্দ করা হয়।
শুক্রবার এটিইউ’র পুলিশ সুপার (লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া) মো. মাহিদুজ্জামান বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে দাওয়াতি কার্যক্রমের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে সে। পাশাপাশি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের এ নেতাকে আটক করা হয়।
তার নামে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা রয়েছে। হিযবুত তাহরীর আরেক সক্রিয় সদস্য ও আইটি বিশেষজ্ঞ গিয়াসউদ্দিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে এসব কথা জানান তিনি।
এন্টি টেররিজমের এই পুলিশ সুপার বলেন, আটককৃত জাহিদ ২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগ থেকে অনার্স পাশ করেন। জাহিদ ২০০৯ সালে মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের উত্তরা ও ধানমণ্ডি শাখা এবং ২০১৪-২০১৫ সালে ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বর্তমানে সে যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত আলফ্রেড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত আছেন।
তিনি আরও বলেন, আটককৃত জাহিদ বুয়েটে অধ্যয়নকালে ২০০৫ সালে হিযবুত তাহরীর সাথে সাংগঠনিকভাবে যুক্ত হয়। পরে জাহিদ প্রকাশ্য এবং ২০০৯ সালে ১৫ আগস্ট হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পর গোপনে দাওয়াত ও সদস্য সংগ্রহ অব্যাহত রাখেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ জানায়, বিগত ১৫ বছর ধরে জাহিদ রাজধানীর নানা এলাকায় হিযবুত তাহরীরের দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছিলেন। বর্তমান সরকারকে অপসারণ করে বাংলাদেশে খিলাফায়ে রাশেদীন প্রতিষ্ঠার জন্য জাহিদ বিভিন্ন জায়গায় হিযবুত তাহরীর সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত গোপনীয় বৈঠক করত।
জাহিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানানএন্টি টেররিজমের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।