বর্তমান পরিস্থিতিতে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি থাকার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক (ডিএসডাব্লিউ) ড. মিজানুর রহমান। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ঘটনার প্রায় ৩০ ঘন্টা হয়ে গেলেও বুয়েটের ভিসি কোথায়, তা তিনি জানেন না বলেও জানান।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুর প্রতিবাদে বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে এ কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বুয়েটে চলমান বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বেলা ১১টার কিছু পরে ডিএসডাব্লিউ শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে এলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে ঘিরে ধরেন। ওই সময় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায়ে শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগও দাবি করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ওই সময় ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র রাজনীতি থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন নেই।’
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার আশ্বাস দেন তিনি।
আবরার ফাহাদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গত প্রায় ৩০ ঘণ্টায় ক্যাম্পাসে আসেননি, এমনকি আবরারের জানাজায়ও অংশ নেননি, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেটা ভিসি’কে বলতে পারেন – ভিসি আসবে কিনা এটা উনার ব্যপার। তবে আমরা এখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করব।’
ওই সময় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে উপাচার্যকে সবার সামনে তিনি ফোন করলে উপাচার্য ফোন না ধরে লাইন কেটে ফোন বন্ধ করে দেন।
কতদিনের মধ্যে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর একেএম মাসুদ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।