ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবাহী ট্রলার তাহমিনা এক্সপ্রেস ডুবে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোররাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে ফায়ার সার্ভিস এসে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ইঞ্জিনরুম থেকে আটকে পড়া ৪ জনের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন। এসময় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে মাস্টারসহ দুজনকে।
নিহতরা হলেন-পিরোজপুরের কাউখালীর চাষেরকাঠি এলাকার আব্দুর রব তালুকদারের ছেলে মোস্তফা (৫৫), পিরোজপুরের বটবাড়ির ছোট আরজি এলাকার রাশেদ হাওলাদারের ছেলে বাবু (১৮), ঝালকাঠির নলছিটির কান্দেবপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে লুৎফর রহমান (৩৯) ও বরিশালের বানারিপাড়ার ইলুহার এলাকার মহিবুল্লাহ (৬০)।
বাল্কহেডের মাস্টারের বরাত দিয়ে ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ কাজল মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বুড়িগঙ্গা নদীতে বাল্কহেডটি নোঙর করে পরিষ্কার করা হয়। পরিষ্কার করার সময় হয়তো কোনো স্থানে ছিদ্র হয়ে যায়। পরে শ্রমিকরা ঘুমিয়ে পড়লে বাল্কহেডের ভেতর পানি প্রবেশ করে ডুবে যায়। এতে বাল্কহেডের ভেতরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৪ জন মারা যান। আর বাল্কহেডের মাস্টারসহ দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, নিহত সকলেই বাল্কহেডের শ্রমিক। পরে পাগলা নৌ পুলিশ লাশ উদ্ধার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।