রাজধানীর সদরঘাট থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার উত্তরপাড়ে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া গড়ে উঠা ২৭টি প্রতিষ্ঠান ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও যেসব কারখানায় পনি বা বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট-ইটিপি (ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) নাই তাদের কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়ে অনূর্ধ্ব তিন মাসের মধ্যে সেসব কারখানা বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুড়িগঙ্গার দূষণ সংক্রান্ত চলমান (কন্টিনিউয়াস মেন্ডামাস) এক রিট মামলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদন দেখে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। এবং এ বিষয়ে আগামী ২ ডিসেম্বর পরবর্তী আদেশ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটকারী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম এ মাসুম, বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালকের (পোর্ট অ্যান্ড ট্রাফিক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান আর পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাজমুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল।
পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া পরিচালিত ২৭টি প্রতিষ্ঠান হলো; ফেব্রিক্স ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং কারখানা, চাঁদনী টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, কদমতলী ডিইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, নূরানী টেক্সটাইলস মিলস লিমটেড, এ মজিদ অ্যান্ড সন্স ডাইং, খাদিজা টেক্সটাইল প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিন্টিং, টিপিআই টেক্সটাইল প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, অগ্রনী ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, সুবর্ণা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, মাসুদ টেক্সটাইল,সোনিয়া ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, জেদ্দা ডাইং,সিবা টেক্সটাইল প্রসেসিং লিমিটেড, মলিনা টেক্সটাইল লিমিটেড, মেসার্স শামস ডাইং, এমজে ডাইং, রাফসান ডাইং। পিতলের কারখানা আজিজ মেটাল, আলিফ মেটাল, এনএক্স করপোরেশন, ঢালাই কারখানা মেসার্স অগ্রণী মোল্ডিং, মতলব আয়রন, পারফেক্ট ওয়্যার, এসএস ইলেকট্রোপ্লেটিং ওয়ার্কস, রেডিমিক্স কারাখানা মেসার্স খান রেডিমিক্স, পাইপ তৈরির কারখানা মোহাম্মদীয়া পাইপ, হাসপাতাল মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসাপাতাল ও রিভারসাইট হাসপাতাল লিমিটেড।