বায়োএনটেক এবং তার সহযোগী ফাইজার জানিয়েছে, তাদের যৌথভাবে বানানো করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেরিতে দিলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করবে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময়ে তেমন কোনো প্রমাণ মেলেনি।
এক যৌথ বিবৃতিতে প্রাইম ও বুস্টার ডোজ দেওয়ার মধ্যে তিন সপ্তাহের ব্যবধান থাকবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে করোনাভাইরাসের ডোজ দেওয়ার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে বিশ্লেষণ হয়নি। ট্রায়ালে বেশিরভাগ ভ্যাকসিন গ্রহণকারীই নির্দিষ্ট সময়ে ভ্যাকসিন নিয়েছে।
এর আগে ভ্যাকসিন সরবরাহ ঠিক রাখতে যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেরিতে দেওয়ার কথা বলা হয়। একই বিষয় বিবেচনা করছিলো জার্মানিও। ডেনমার্কেও প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ৬ সপ্তাহের ব্যবধানের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম ডোজ দেওয়ার ২১ দিন পরেও সেটা নিরাপত্তা দেবে এমনটা দেখা যায়নি।
আবার সাউথ আফ্রিকায় দেখা দেওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে সবগুলো ভ্যাকসিন কাজ নাও করতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। ব্রিটিশ সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার বরাত দিয়ে এমন কথা জানিয়েছে আইটিভি।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সেক্রেটারি ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, তিনি সাউথ আফ্রিকার করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে অবিশ্বাস্যরকমভাবে চিন্তিত।
ব্রিটিশ সরকারের একজন বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার মতে, তিনি চিন্তিত কারণ নতুন ধরণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন সক্ষম হবে কিনা সেই বিষয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী নয়।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও সাউথ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন সাউথ আফ্রিকার নতুন ধরনটি অন্যগুলোর থেকে আলাদা কারণ এর অনেকগুলো মিউটেশন হয়েছে। সেটা মানবকোষকে বেশি সংক্রমিত করে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের প্রফেসর জন বেল বলেন, ভ্যাকসিনগুলো যুক্তরাজ্যের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম কিন্তু সাউথ আফ্রিকার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে কতটা কার্যকর সেটা নিয়ে বড় প্রশ্ন আছে। তবে কাজ না করলেও নতুন ভ্যাকসিন তৈরিতে আর বছরখানেক লাগবে না বরং একমাস থেকে ছয় সপ্তাহেই তৈরি করা যাবে।