জিয়া পরিষদের ‘বুদ্ধিজীবী সমাবেশ’ করতে না দেয়ায় শনিবার সমাবেশে এসেও ফিরে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফিরে যাওয়ার সময় তিনি দেশে ন্যূনতম ‘গণতান্ত্রিক স্পেস’ নেই বলে অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। এটি রাজনৈতিক সমাবেশ ছিল না, তবুও সেটি সরকার করতে দেয়নি। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি।’
শনিবার বেলা ১১টার দিকে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘জিয়া পরিষদে’র উদ্যোগে পূর্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেভাবেই আয়োজন করা হয়। ব্যানার টানানো হয়। ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকরাও অংশ নিতে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন।
এরই মধ্যে পুলিশ সকাল সোয়া ১০টার দিকে অনুমতি নেই জানিয়ে অনুষ্ঠানটি করা যাবে না বলে আয়োজকদের জানায়।
ফখরুল বলেন, ‘এটা খুবই পরিতাপের কথা, ক্ষোভের কথা, দুর্ভাগ্যের কথা যে, পুলিশ একটা ভয়ঙ্কর দুঃশাসনের পক্ষ হয়ে কাজ করছে, অত্যাচার-নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।’
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ এসে বলল, আপনারা সমাবেশ করতে পারবেন না। সমাবেশ করার কোনো অনুমতি নেই। বাধ্য হয়ে আমরা অনুষ্ঠানটি বাতিল করেছি।’
পরে সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আসেন। গাড়ি থেকে নেমে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ ঘটনার নিন্দা জানান।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। এখানে কথা বলার অধিকার নেই। সারা দেশে যে কথা বলার, সভা সমাবেশ করার কোনো অধিকার নেই তারই প্রমাণ আজকে প্রোগ্রাম করতে না দেয়া।
তিনি বলেন, ‘এই স্বৈরাচারী সরকার জনগণের বুকের উপর পাথরের মত চেপে বসেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি। সভা সমাবেশের রাজনৈতিক অধিকারও হরণ করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিরোধী দলের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। কোথাও নূন্যতম কথা বলার পরিবেশ নাই।’
‘ফ্যাসিবাদী সরকার কথা বলার ন্যূনতম অধিকারটিও কেড়ে নিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার একটি ভয়ানক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।’