প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের আবিষ্কার আজমীর আহমেদের ব্যাটে রানের ফল্গুধারা ছুটছেই। ফতুল্লায় দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন দিন কয়েক আগে। মঙ্গলবার ইমার্জিং কাপের ভেন্যু কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেললেন ১৫১ রানের অপ্রতিরোধ্য আরেকটি ইনিংস। ৪০তম ওভারের সময় স্বেচ্ছায় অবসর না নিলে ইনিংসটা আরো লম্বাই হতো লাল দলের এই ওপেনারের।
আজমীর ১৩৭ বলে ৮টি চার ও ১০টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন। হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত। অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে এসেছে ২০ রান। যাতে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান তোলে লাল দল।
জবাবে সাদমান ইসলামের ১৩৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পরও ৬৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে সবুজ দল। আবু হায়দার রনির পেস তোপে ৪৯.৩ ওভারে ২৪৮ রানে গুটিয়ে যায় সবুজ শিবির। তিন নম্বরে নেমে একাই লড়ে যান সাদমান। ১৩৬ বলে ১০টি চার ও ৬টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি গড়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ এসেছে রান ইয়াসির আলী রাব্বির ব্যাটে।
আবু হায়দারের ঝুলিতে গেছে ৪ উইকেট। আজমীর আহমেদ, নাসির হোসেন ও জাভেদ নেন দুটি করে উইকেট।
ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল দিন কাটানো আজমীর ম্যাচের পর চ্যানেল আই অনলাইনকে বললেন, ‘যেভাবে চেষ্টা করছি সেভাবেই হচ্ছে। ভালো সময় যাচ্ছে আমার। ইমার্জিং কাপে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। আমার পারফরম্যান্সে যদি বাংলাদেশ জেতে সেটাই হবে সবচেয়ে আনন্দের।’
প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে ২২২ রানের ইনিংস! তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সম্ভাবনার জানানটা দেওয়া হয়ে গেছে ওই ইনিংস দিয়েই। আজমীর আহমেদ সেটা টেনে আনেন বড় মঞ্চেও। ইমার্জিং কাপের দল গঠনের আগে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি সবুজ দলের হয়ে দুর্দান্ত সেই অপরাজিত সেঞ্চুরি। প্রথম ম্যাচে খেলেছেন চোখ জুড়ানো ২৯ রানের ইনিংস। তৃতীয় ম্যাচে এলো হার না মানা ১৫১! কোচ-নির্বাচক, ক্রিকেটপ্রেমীদের মুগ্ধ করেই চলেছেন এই তরুণ।
বৃহস্পতিবার একই ভেন্যুতে চতুর্থ ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচটি হবে। আট দেশের অংশগ্রহণে ইমার্জিং এশিয়া কাপের মূল আসর শুরু হবে ২৭ মার্চ। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রতিপক্ষ হংকং জাতীয় দল।