দীর্ঘ সময় ধরে না করা বার্ষিক সাধারণ সভাটা (এজিএম) এবার করতে চায় বিসিবি। গঠনতন্ত্র নিয়ে রায় নিজেদের পক্ষে এলেও অবশ্য চাওয়াটা পূর্ণ করার আগে অপেক্ষাই করতে হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটিকে। অপেক্ষা আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি না আসা পর্যন্ত। কেননা রায়ে এজিএম, ইজিএম, নির্বাচন বিষয়ে থাকবে পূর্ণ নির্দেশনা।
আগামী অক্টোবরে শেষ হবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন কমিটির চার বছরের মেয়াদ। ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর নির্বাচনে জয় লাভের পর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করেনি বর্তমান বোর্ড। রোববার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১৭তম সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে করা হবে এজিএম ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম)।
গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দিয়েছেন, গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতেই থাকছে। এখন আগামী নির্বাচন আয়োজনের আগে এজিএম বা ইজিএম করতে হবে বিসিবিকে। আর সেখানে কাউন্সিলর কারা থাকবেন সেটি ঠিক করতে বিসিবিকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের জন্য।
বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান সেই অপেক্ষার কথাই বললেন সংবাদ মাধ্যমকে, ‘কোর্টের রায়ের কপিটি আমাদের হাতে আসেনি। যা শুনেছি তাতে করে মনে হচ্ছে মামলাটা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। যদি নিষ্পত্তি হয়ে যায় তাহলে তো আমাদের সামনে আগাতে হবে। সেজন্য এজিএম, ইজিএম যেগুলো বাকি আছে সেটার জন্য একটি প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। সেপ্টেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই এটা করবো, যদি এর মাঝে আমাদের কাছে রায়ের কপিটি চলে আসে। সঙ্গে কোর্টের কী কী নির্দেশনা সেটা দেখে আমরা যদি পারি, সেসময়ের মধ্যেই সব করবো।’
সংশোধিত গঠনতন্ত্রেই গত নির্বাচন হয়েছিল। তবে জল ঘোলার শুরু ২০১২ সালে। বিসিবির বিশেষ সাধারণ সভায় কাউন্সিলরদের মতামত নিয়ে এনএসসি’র কাছে গঠনতন্ত্র পাঠানো হয়েছিল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সেই গঠনতন্ত্র যাচাই-বাছাই করে সংশোধন এনে বিসিবিতে ফেরত পাঠায়।
পরে বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে সাধারণ সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে এনএসসি। বিষয়টি নিয়ে রিট করা হয়। সেই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বুধবার সেই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। বিসিবি চাইলে এখন প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেরাও গঠনতন্ত্রে সংশোধন আনতে পারবে।