বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুই স্তরের নির্বাচক কমিটি অনুমোদনের প্রতিবাদে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ফারুক আহমেদ।
রোববার বিকেলে বিসিবির সভায় ওই কমিটির অনুমোদনের পর রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ফারুক আহমেদ।
নতুন এই পদ্ধতি অনুযায়ী নির্বাচন-প্রক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তিনজনের একটি নির্বাচক প্যানেল থাকবে। তাতে একজন প্রধান নির্বাচক ও দুজন নির্বাচক থাকবেন। তারা দল নির্বাচন করবেন।
আরেকটি থাকবে নির্বাচক কমিটি। তাতে প্রধান নির্বাচকসহ তিন নির্বাচক, প্রধান কোচ ও টিম ম্যানেজার থাকবেন।
এই প্রক্রিয়ায় দল নির্বাচনের আগে কোচ তার কৌশলগত পরিকল্পনার কথা জানাবেন নির্বাচকদের। প্রতিপক্ষ, কন্ডিশন-এসব বিবেচনায় তিনি কী ধরনের দল চান, দেবেন সে ধারণাও। তিন নির্বাচক সে অনুযায়ী দল গঠন করে তা নিয়ে কোচ এবং ম্যানেজারের সঙ্গে বসবেন। ক্রিকেট পরিচালনা-প্রধানকে আহ্বায়কের ভূমিকায় রেখে এই সভাতেই চূড়ান্ত হবে দল।
তিন নির্বাচক, কোচ, ম্যানেজার এবং নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান-এই ছয়জনের স্বাক্ষরসহ দলটি পাঠানো হবে বোর্ড সভাপতির কাছে।
নতুন এই পদ্ধতি নিয়ে সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন। এর প্রতিবাদে আগেই পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েই দিলেন।
রোববার বোর্ড সভায় ফারুক আহমেদের বর্তমান নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন আনা হয়েছে একটি। ফারুক ও মিনহাজুল আবেদীনের সঙ্গে নতুন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক ক্রিকেটার সাজ্জাদ আহমেদকে। আর হাবিবুল বাশারকে দেওয়া হয়েছে মহিলা ক্রিকেটের নির্বাচকের দায়িত্ব। জুনিয়র নির্বাচক হিসেবে এহসানুল হকের সঙ্গে যোগ দেবেন হাসিবুল হাসান ও হান্নান সরকার।