চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিষয়টি হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই

আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সাংগঠনিক প্রধান ওবায়দুল কাদের ভয়ংকর এবং গুরুতর এক অভিযোগ করে বলেছেন, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পাঁয়তারা চলছে। তার দাবি, এ নিয়ে পর্দার অন্তরালে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

দেশের সবচেয়ে বড় দলের সাধারণ সম্পাদকের মতো পদে থাকার পাশাপাশি মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তি যখন এই ধরনের অভিযোগ করেন, তখন কোনোভাবেই তাকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। বিশেষ করে সেই অভিযোগ যদি হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রধানকে নিয়ে।

নিশ্চিত করেই বলা যায়, ওবায়দুল কাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আনবেন না। তার ভিত্তিতেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন-আইইবি মিলনায়তনে সাম্যবাদী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেয়া তার বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের কথা।

আমরা জানি, পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট খুনিচক্র নৃশংসভাবে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। সেদিন খুনিদের বর্বরতা থেকে শিশু ও নারীরাও রেহাই পাননি। জীবন দিতে হয়েছিল ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকেও। দেশের বাইরে না থাকলে রক্ষা পেতেন না শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানাও।

সেই ঘটনার প্রায় ৬ বছর পর দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের দাপট এবং জীবনের প্রতি হুমকি উপেক্ষা করেই বাংলাদেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। কিন্তু খুনি চক্র থেমে থাকেনি। তাকে হত্যা করতে একের পর এক হামলা চালিয়ে গেছে। অন্তত ২১ বার তাকে হত্যার সরাসরি চেষ্টা চালানো হয়েছে। যার ভয়ংকর উদাহরণ ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা। ভয়াবহ ওই হামলায় ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান তিনি।

আমরা নিশ্চিত এই চক্র তাদের অপতৎপরতা বন্ধ রাখেনি। কালসাপের মতো ছোবল দেওয়ার সুযোগ খুঁছছে। কারণ তারা জানে, শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে পারলেই তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হতে বাকী থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেয়া যাবে। ধ্বংস করে দেয়া যাবে এদেশের প্রগতিশীল আদর্শকেও।

তাই আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত সবগুলো সংস্থাকে অতি স্পর্শকাতর এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দ্রুত অনুসন্ধান করা। এই ষড়যন্ত্রের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন।