পাকিস্তানের পাঞ্জাবে সুফিদের এক আখড়ায় আনুমানিক ২০ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং এঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের পুলিশ। সুফিদের এই আখড়া চালাতেন সুফিসাধক মোহাম্মদ আলী গুজার।হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি সেখানে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই আখড়ার ৫০ বছর বয়সী তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল ওয়াহেদ এই ঘটনার স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশের ডেপুটি কমিশনার লিয়াকত আলী। আব্দুল ওয়াহেদ বলেছে, হত্যার হুমকি ও সম্ভাবনা থেকেই সে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এই ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া একজন পুলিশকে জানায়, আখড়ার তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল ওয়াহেদ আখড়ার অনুসারিদের একজন একজন করে কক্ষে ডেকে বিষাক্ত খাবার খেতে দেন।পরে তিনি এবং তার সহযোগীরা ছুরি এবং লাঠির আঘাতে তাদেরকে হত্যা করে।
এই ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানা যায় আখড়া থেকে পালিয়ে আসা একজন আহত মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে।তারপরে স্থানীয় প্রসাশন আখড়া ভেঙ্গে দেয় এবং তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল ওয়াহেদসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার করেন।
পাকিস্তানের জিও টিভির বরাত দিয়ে জানানো হয়, হত্যার আগে তাদেরকে নির্যাতন করা হয় এবং এজন্য নিহতদের শরীরে কোন কাপড় ছিলো না।এ ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন বেঁচে ফিরেছেন।
তবে ঘটনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে অথবা আখড়ার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা।
আক্রান্তদের মধ্যে সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী।আরবি রজব মাসের প্রথম সপ্তাহে এই আখড়াই খাবার বিতরণের রীতি ছিলো।