বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী সানা মার্টিনকে নিয়ে নতুন জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ফিনল্যান্ড। তবে শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, যে পাঁচটি রাজনৈতিক দল মিলে সরকার গঠন করছে তার প্রত্যেকটিরই নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন নারী।
৩৪ বছর বয়সী পরিবহনমন্ত্রী সানা মার্টিনকে তার দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি সোমবার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করে। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টি রিনের পর তিনিই দেশের নতুন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানায়, মধ্য-বামপন্থি যে জোট সরকারের প্রধান হতে যাচ্ছেন সানা, তার পাঁচ অংশী দলের প্রত্যেকটির নেতা যে শুধু নারী তা-ই নয়, পাঁচজনের চারজনের বয়সই ৩৫ এর নিচে!
বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তিনি ফিনল্যান্ডের তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
দেশটির অন্যতম সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সান্ডার স্টাব নতুন এই তরুণ ও সম্পূর্ণ নারী নেতৃত্বাধীন জোট নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই জোটই প্রমাণ করে যে, ফিনল্যান্ড একটি আধুনিক এবং প্রগতিশীল দেশ।
সোমবার এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমার দল এবার সরকারে নেই, কিন্তু সরকারের পাঁচটি দলের সবগুলোর প্রধান নারী হওয়ায় আমি উৎফুল্ল।’
তার সরকারেও বেশিরভাগ নেতৃত্বে নারীরা ছিলেন উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এমন একদিন আসবে যেদিন সরকার গঠনে জেন্ডার কোনো বিষয়ই থাকবে না।
My party is not in government, but I rejoice that the leaders of the five parties in government are female. Shows that #Finland is a modern and progressive country. The majority of my government was also female. One day gender will not matter in government. Meanwhile pioneers. ? pic.twitter.com/dW8OMEOiqb
— Alexander Stubb (@alexstubb) December 9, 2019
২০১৫ সাল থেকে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন এমপি হিসেব দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এতদিন দলের উপ-প্রধানও ছিলেন তিনি।
জোট সরকারের অন্যতম প্রধান দল সেন্টার পার্টির আস্থা ও সমর্থন হারিয়ে গত সপ্তাহে অ্যান্টি রিনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। গত এপ্রিলের সাধারণ নির্বাচনে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি সবচেয়ে বেশি ভোট ও আসন পাওয়ার পর ফিনল্যান্ডের গত ২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম বামপন্থী রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার সুযোগ পান তিনি।
কিন্তু নভেম্বরে রাষ্ট্রীয় ডাক বিভাগে চলা ধর্মঘট টানা দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে এবং রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন কোম্পানি ফিনএয়ারসহ অন্যান্য পরিসরে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে জোটের প্রধান অংশী দলের ব্যাপক সমালোচনায় পড়ে অ্যান্টির নেতৃত্ব।