বরফাচ্ছন্ন কানাডার আলবার্টা সিটির অদূরে ড্রাম হিলার শহরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ডাইনোসর মিউজিয়াম রয়্যাল টাইরেল-এ এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
একঘেঁয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যদের সাথে প্রবাসী বাঙালিরাও পরিদর্শন করছে মিউজিয়ামটি।
তেলগ্যাসের জন্য খ্যাত কানাডার আলবার্টা প্রদেশে রয়্যাল টাইরেল মিউজিয়ামটি সিএনএনের ভোটে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাইনোসর জাদুঘরের স্বীকৃতি পেয়েছে। আলবার্টার অসমতল অনুর্বর ভূমির নিচে লুকিয়ে থাকা প্রাচীনতম ৩.৯ বিলিয়ন বছরের পুরনো জীবন সৃষ্টির ইতিহাস সংক্রান্ত বিজ্ঞানের বর্ণনা ও নমুনা এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে।
১৯৮৪ সালে ভূ-তত্ত্ববিদ জোসেফবুর টাইরেল আলবার্টা রেডডিয়ার উপত্যকায় কয়লা উত্তোলনের সময় হঠাৎ ডাইনোসরের কঙ্কাল দেখতে পান। পরে তার নামানুসারেই ১৯৮৫ সালে জাদুঘরটির নামকরণ করা হয়।
বিভিন্ন প্রজাতির ৪০টিরও বেশি ডাইনোসরের কঙ্কাল ও তার নমুনা এখানে রয়েছে। পৃথিবীর ৩৭৫ মিলিয়ন বছরের প্রবাল প্রাচীর, বরফ যুগের স্তন্যপায়ী প্রাণী, সামুদ্রিক সরিসৃপ প্রাণীসহ নানা রকম প্রাগৈতিহাসিক জীবন ও জীব সৃষ্টির উৎসের বর্ণনা এবং নমুনাও এখানে রয়েছে।
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ টি-রেক্স ডাইনোসর, যার দৈর্ঘ্য ১৭০০ বর্গফুট, এখানে প্রদর্শনীতে রয়েছে।
শুধু মিউজিয়াম নয় এটি জীবনসৃষ্টি ও এর ইতিহাসের উপাদান সরবরাহক জীবাশ্ম সংক্রান্ত বিজ্ঞানের (Paleontology) গবেষণা কেন্দ্রও। ৩১ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী গবেষণায় জড়িত রয়েছে। ৫ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে Distance learning student হিসাবে।
কানাডার আলবার্টার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখা এই জাদুঘরটি এখন বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বের ১৫০টি দেশের প্রায় ১২ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক এই জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন। প্রতি বছরই প্রায় ৫ লাখ পর্যটক এই জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
শিশুসহ সকল পর্যটকদের আনন্দ দানের পাশাপাশি জ্ঞান আহরণেও এটি ভূমিকা রাখবে, এমনটাই প্রত্যাশা মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের।