সিঙ্গাপুরের সেনতোসা দ্বীপে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নর্থ কোরীয় নেতা কিম জং উন।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণই বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা ও অবরোধ প্রত্যাহার চায় নর্থ কোরিয়া।
বৈঠক ইতিবাচক হবে বলে আশা করছেন উভয় নেতা।
নানা নাটকীয়তা ও দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ঐতিহাসিক এ বৈঠক করছেন ট্রাম্প ও কিম। প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নর্থ কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসলেন ট্রাম্প।
কয়েক মাস আগেও এমন চিন্তা ছিল অকল্পনীয়। বরং কূটনীতির বাইরে গিয়ে গত প্রায় এক বছর ধরে দু’নেতাই একে অপরের বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধে মেতে ছিলেন।
দু’দেশের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠবে, না দীর্ঘদিনের বৈরিতা আরও বাড়বে, তা জানতেই সারাবিশ্বের নজর এখন সিঙ্গাপুরে।
বৈঠকের আগে অবশ্য যুক্তিসঙ্গত সমাধানে পৌঁছানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনার সুযোগের কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
তবে তার আগে নর্থ কোরিয়াকে অবশ্যই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে অন্যথায় নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়বে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
অন্যদিকে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নর্থ কোরিয়ার নতুন সম্পর্ক তৈরির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ।
বৈঠকটি ফলপ্রসূ হলে দীর্ঘদিনের বিরোধিতার অবসান হতে পারে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা। আর তা না হলে নতুন করে আরও বেশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা বিশ্বকে আরও হুমকির মুখে ফেলে দেবে।
তবে বৈঠকের পুরোটাই নির্ভর করছে দুই পক্ষের সদিচ্ছা, কূটনৈতিক সক্ষমতা ও নমনীয়তার ওপর। বৈঠককে কেন্দ্র করে পুরো সিঙ্গাপুর জুড়েই নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বৈঠকে শেষে মঙ্গলবারই স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ট্রাম্প আর বিকেলেই দেশে ফিরবেন কিম জং উন।