কানাডার আদালতে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি চেষ্টার মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বসহ আলোচনা হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংকের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়ে বৈঠকে কোন কথা হয়নি। বৈঠকের পর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম চ্যানেল আই অনলাইনকে এসব তথ্য জানান।
চ্যানেল আইয়ের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানান, ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভা কিছু বলেনি। কিন্তু, ক্ষতির বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।
বাংলাদেশের কী ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগ না উঠলে ২০১৬ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যেতো। এখন সেটা ২০১৮-১৯ সালে শেষ হবে। এ কারণে শতকরা এক শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কম হচ্ছে।
তবে মামলার অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সামগ্রিকভাবে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতি প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ইমেজ বেড়েছে।
মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।