চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আর রাজি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে লিখেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান প্রথমবর্ষে ভর্তির জন্য বাছাই-পরীক্ষা যখন শুরু হয়, প্রতি বছরই কিছু বন্ধু-আত্মীয় বা পরিচিত জন জানতে চান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোন দুই-নাম্বার রাস্তা আছে কি? একটা আসনের জন্য যখন শত শত ভর্তিচ্ছু লড়াইয়ে নামেন, তখন দু-একজনের এই অনুসন্ধান খুব স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু এই স্বাভাবিক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আমার বুকটা অস্বাভাবিক গর্বে ফুলে ওঠে।
বাংলাদেশের লোক-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, এককভাবে কেবল শিক্ষকরা, এই বাছাই-পরীক্ষাকে পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্তভাবে বছরের পর বছর পরিচালনা করে আসছেন। বাংলাদেশে যদি শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত কোন আয়োজন থেকে থাকে তাহলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বাছাই-পরীক্ষা। দেশের বিদ্যমান বাস্তবতায়, লোক-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ এক অনন্য অহংকার।
২.বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগও পুরোপুরি দুনীর্তিমুক্ত হতে পারত যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক বাছাইয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করে সেটিও শিক্ষকদের ওপরেই ছেড়ে দেওয়া হতো। আর এটি সম্ভব হলে, মর্যাদার জন্য লোক-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারের পায়ে চোখের জল ঝরাতে হতো না। কিন্তু লোক-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নেতা-শিক্ষকরা অনৈতিক এই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে কোন কথা বলেন না।
কারণ, পাছে যদি নেতা রুষ্ঠ হন তখন নিজের সব রকম নিয়োগই যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়!’