বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে রক্ষণশীল করার অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাতিল এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার ও তাদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত মশাল মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এ দাবি জানান তারা। এসময় আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দেন।
সন্ধ্যায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মশাল মিছিল বের করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মিছিলটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে কলাভবন, অপরাজেয় বাংলা ও মধুর ক্যান্টিন হয়ে টিএসসি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সমাবেশ থেকে দ্রুত কোটা সংস্কারের দাবিও জানানো হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি ফয়জুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক রাজীব রাজ দাশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, আহবায়ক আলমগীর সুজন প্রমুখ।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উম্মে হাবিবা বেনজীর বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোন কোটাই থাকবে না মর্মে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিন মাস পরে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে গেলে তাদের ছাত্রলীগ হামলা করে। গত বৃহস্পতিবার সংসদে তিনি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল সম্ভব নয়।
এসময় জাতীয় সংসদে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়ে বেনজীর বলেন, তাঁর এ বক্তব্যের মাধ্যমে ছাত্রসমাজকে অপমানিত করা হয়েছে। ছাত্রসমাজ এ বক্তব্য মানে না।
তিনি বলেন, আপনারা অন্যায় সিদ্ধান্ত নেন বলেই ছাত্রদের লাফালাফি করতে হয়। ছাত্ররাই লাফালাফি করবে, ছাত্ররাই আন্দোলন করবে, আবার তারাই পড়াশোনা ও গবেষণা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলে। কারো বাবার টাকায় চলে না।
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।