বিশ্ব মানবতার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দেশে দেশে ক্রিসমাস বা বড়দিন উদযাপন হচ্ছে। বিশেষ প্রার্থনার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী আনুষ্ঠানিকতায় যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন পালন করছেন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা।
সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় রোম এবং ভ্যাটিকান সিটির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইএস নাশকতা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কায় শহরজুড়ে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
ভ্যাটিকানের মূল প্রার্থনা পরিচালনা করেন পোপ ফ্রান্সিস। প্রার্থনায় যোগ দেন ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো পুণ্যার্থী। বরাবরের মতোই খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ঐতিহ্যগত বার্তা দেন পোপ। শিশুদের দুর্ভোগ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
সিরিয়ার আলেপ্পোর কথা উল্লেখ করে সেখানে শিশুদের উপর নির্যাতনের নিন্দা জানান পোপ ফ্রান্সিস।
যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান বেথেলহ্যামে বরাবরের মতোই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে ক্রিসমাস উদযাপন চলছে।
বড়দিনে ভিডিও বার্তায় সারা বিশ্বের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা।
আর বড়দিনে মেক্সিকোর একটি হাসপাতালে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুদের সান্তার সাজে সাজানো হয়েছে।
চীন এবং জাপানে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা চলছে। চার্চগুলোতে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আফ্রিকা, সার্বিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও বর্ণিল ক্রিসমাস উৎসব।