বৃষ্টি থাবা বসিয়েছে এবারের ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস বিশ্বকাপে। এরমধ্যেই তিনটি ম্যাচ বাতিল হয়েছে। এর আগে কোন বিশ্বকাপে বৃষ্টি কীভাবে প্রভাব ফেলেছিল, চোখ দেয়া যাক সেদিকে…
১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এই তিনটি বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে হওয়া সত্ত্বেও বৃষ্টির জন্য একটি ম্যাচও বাতিল হয়নি।
১৯৮৭ বিশ্বকাপে রাওয়ালপিণ্ডিতে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ প্রথমদিন না হওয়ায় পরের দিন রিজার্ভ ডে’তে খেলা হয়। পেশোয়ারে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের পরিধি কিছুটা কমে গিয়েছিল বৃষ্টির জন্য।
১৯৯২ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি ৮টি ম্যাচে প্রভাব ছিল বৃষ্টির। তবে বাতিল হয় শুধু ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। বাকি ম্যাচগুলোতে ওভার কমানো হয়। ১৯৯৬তে বৃষ্টির কোনো প্রভাব পড়েনি ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা আয়োজিত বিশ্বকাপে।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ আসর বসেছিল ইংল্যান্ডে। সেবার জিম্বাবুয়ে-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টি হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ওভার কমানো হয়। কিন্তু আবার বৃষ্টি হওয়ায় ম্যাচ বাতিল করা হয়।
২০০৩ সাউথ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসে ওভার কমানো হয়েছিল। তবে সেই বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল বৃষ্টি আইনেই স্বাগতিক সাউথ আফ্রিকার ছিটকে যাওয়া।
শ্রীলঙ্কা বনাম সাউথ আফ্রিকা ম্যাচটির কথা অনেকেরই মনে আছে নিশ্চয়। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বৃষ্টি আসে এবং সব হিসেব ওলটপালট করে দেয়। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে টার্গেটের হিসেব ভুল করে ফেলে সাউথ আফ্রিকা। ম্যাচ হয় টাই। শ্রীলঙ্কা এবং সাউথ আফ্রিকার মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে যায় এবং বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় শন পোলকের সেই ‘অপরাজেয়’ দল। তবে ফাইনালে ভারতের ব্যাটিংয়ের সময় ১৭ ওভারের পর বৃষ্টি এলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের ফাইনালটি ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত। অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করে খেলেছিল ৩৮ ওভার। শ্রীলঙ্কার জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৬ ওভার।
২০১১ ভারত-বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা আয়োজিত বিশ্বকাপে বৃষ্টি সে রকম প্রভাব ফেলেনি। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচে বৃষ্টির ছাপ পড়েনি।
২০১৯ শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচে আফগানদের জন্য বরাদ্দ হয় ৪১ ওভার। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বাতিল তিনটি ম্যাচ: শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-সাউথ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ।