আইসিসি টি-টুয়েন্টি র্যাঙ্কিং: নবম। বিশ্বকাপে সেরা ফলাফল: গ্রুপ পর্ব।
বড় প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে কখনোই টি-টুয়েন্টি খেলা হয়নি বাংলাদেশ নারী দলের। আগের তিন আসরে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে পড়েছিল দল দুটি। এবার প্রথম দেখা হতে যাচ্ছে, সেটা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই। অজিরা আবার র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দল।
২৭ ফেব্রুয়ারি মানুকা ওভালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া। তার আগে সোমবার টিম টাইগ্রেসের প্রতিপক্ষ ভারত। যে দলটির বিপক্ষে দুবার জেতার কীর্তি আছে সালমা খাতুনদের। যার একটি ম্যাচ আবার এশিয়া কাপের ফাইনালে। পরে ২৯ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড ও ২ মার্চ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের বাকি ম্যাচগুলোতে নামবে বাংলাদেশ।
যার দিকে রাখতে হবে নজর: মাত্র ২২ বছর বয়সে টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রান সংগ্রাহক উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নিগার সুলতানা। করেছেন ৭৪৪ রান। গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি অর্ধশতক আছে, চলতি বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও খেলেছেন বেশ ভালো। গত ডিসেম্বরে মালদ্বীপের বিপক্ষে করেছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ছোট দলের বিপক্ষে শতক পেলেও সেটি থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস অস্ট্রেলিয়ায় কাজে লাগাতে পারবেন নিগার।
এক্স-ফ্যাক্টর: বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মাত্র ৬.৬ গড়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন লেগস্পিনার নাহিদা সুলতানা। বয়স সবে ১৯, কিন্তু চারবছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলেছেন তিনি। ৪.৭৭ গড়ে ৩৮ ম্যাচে ৪৯ উইকেট পাওয়া নাহিদা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য হতে চলেছেন এক্স-ফ্যাক্টর।
অবাক হওয়ার কিছু নেই: ভারতকে দুবার হারানোর সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কাও হাতের কাছের দল। বাকি দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড তো আছেই। এরপরও এই গ্রুপ থেকে যদি প্রথমবারের মতো পরের রাউন্ডে পা রাখে বাংলাদেশ, মোটেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
টি-টুয়েন্টিতে ফলাফল: ৭১ ম্যাচ। জয় ২৭টি, হার ৪৪টিতে।
দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ: ৭ উইকেটে ১৫২, পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে, ২০১৯ সালে।
দলীয় সর্বনিন্ম সংগ্রহ: ৩০, পাকিস্তানের বিপক্ষে কক্সবাজারে, ২০১৮ সালে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল: সালমা খাতুন (অধিনায়ক), রুমানা আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), জাহানারা আলম, শামিমা সুলতানা, মুর্শিদা খাতুন হ্যাপি, আয়শা রহমান শুকতারা, নিগার সুলতানা জ্যোতি, সানজিদা ইসলাম, খাদিজাতুল কুবরা, পান্না ঘোষ, ফারজানা হক পিংকি, নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, রিতু মনি, সোবহানা মোস্তারি।