এই নিয়ে চতুর্থবার। অনেক চেষ্টা-পরিকল্পনার পরও বাঁচল না লিওনেল মেসির অধরা স্বপ্ন। নকআউট পর্বে ফ্রান্সের কাছে হেরে আবারও বিশ্বকাপহীন তারকাদের তালিকায় নাম লেখালেন এলএমটেন।
চার বছর পর কাতার বিশ্বকাপে মেসিকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়েই শুরু হয়ে গেছে প্রবল বিতর্ক। কিছুদিন আগে মেসি বলেছেন, যতদিন না বিশ্বকাপ জিতবেন, জাতীয় দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন।
কিন্তু যা গতিপ্রকৃতি তাতে ‘হলফ’ করে বলা যায়, এটাই দেশের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ ছিল মেসির। কারণ পরের বিশ্বকাপ ২০২২ সালে। তখন মেসির বয়স দাঁড়াবে ৩৫-এ। ওই বয়সে শরীর ও মন কতটা মেসির হয়ে কথা বলবে তাও প্রশ্ন সাপেক্ষ।
ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম চুপ। এমন চুপকে শ্মশানস্তব্ধতা ছাড়া কিছু বলা চলে কি? বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি সমর্থকের ভেঙে পড়ার দিন। মেসির প্রতিজন সমর্থক ভেতরে ভেতরে নিশ্চিত নীরব।
এই ম্যাচের পর কোচ হোর্হে সাম্পাওলির দীর্ঘ চুক্তি আর থাকবে কি না কেউ জানে না। নতুন কোচ হিসাবে ভেসে উঠছে সাবেক বিশ্বকাজয়ী বুরুচাগা ও ডিয়েগো সিমিওনের নাম।
ফ্রান্সের কাছে হারের দিনই আবার দেশের জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন সাবেক অধিনায়ক।
কিন্তু কী করবেন আর্জেন্টিনার নতুন ফুটবল সম্রাট? আর কি পরবেন নীল-সাদা জার্সি? নাকি বিশ্ব ফুটবলের সেই ট্র্যাজিক হিরো হয়েই থেকে গেলেন ক্রুয়েফ-পুসকাস-ইউসেবিওদের দলে? যার নামের পাশে থাকবে, দুর্দান্ত ফুটবলার, কিন্তু বিশ্বকাপ পাননি কখনও।