চোটের কারণে খেলা নিয়ে শঙ্কা থাকায় তামিম ইকবাল সরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুরোধে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বআসর শেষেই নেতৃত্ব ছেড়ে দেবেন, এমন ঘোষণা দিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
বিশ্বকাপে অংশ নিতে ভারতে যাওয়ার আগে বেসরকারি টিভি চ্যানেল টি-স্পোর্টসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাকিব। রাতে প্রচারিত সাক্ষাৎকারজুড়েই ছিল তামিম ইকবাল প্রসঙ্গ।
‘এই বিশ্বকাপ শেষ। একদিনও করবো না। ১৭ তারিখ আমি পদত্যাগ করেছি। যে কারণে আমি এশিয়া কাপের আগে দায়িত্ব নিতে চাইনি। এরপরও এটা না। আমার কাছে মনে হয়েছে আমি হাসতে চাই, খেলতে চাই, পারফর্ম করতে চাই। এই একটা কারণে আমি করতে চাইনি। ’
‘আর কোনো কারণ নেই। বেস্ট হয় যদি অধিনায়ক না থাকি। অধিনায়কত্ব কী আমার কোনো ভেল্যু এড করতেছে ক্যারিয়ারে এই স্টেজে এসে? আমি তো মনে করি না। ’
সাকিব বলেন, ‘টিমের প্রয়োজনে যে কারো যেকোনো পজিশনে ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতি থাকা উচিত। রোহিত শর্মা ৭ থেকে ওপেনিংয়ে এসে ১০ হাজার রান করে ফেলছে। তো আপনি ওপেনিং থেকে তিনে বা চারে খেললে সমস্যা কী? এটা আসলে বাচ্চা মানুষি। যে আমার ব্যাট, আমিই খেলব।’
‘পার্সোনাল অর্জন দিয়ে আমি কী করবো। আপনি জিনিসটা দেখলেন যে কেন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, দলের ভালো হবে বলেই তো। এটাতে খারাপ কী হবে। আপনি যখন বলবেন পারবেন ঠিক আছে আমি পারবো খেলতে। আপনি তখন দলের হয়ে খেলতে পারবেন।’
অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্যাপ্টেন্সির জন্য কখনও কোনো শর্ত দিইনি। ১৭ তারিখে অধিনায়কত্ব ছাড়ার জন্য মেইল দিয়েছিলাম। বিশ্বকাপের পর একদিনও অধিনায়কত্ব করব না।’
তামিমের বাদ পড়া প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘যে খেলোয়াড় দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করে তাকে কখনো বাদ দেওয়া হয় না।’
‘কেউ যদি বলে যে আমি এই পজিশনে খেলি, আর কোনো পজিশনে খেলবো না, এটা বাচ্চামি ছাড়া আর কিছু না।
‘তামিম প্রায় প্রতি সিরিজের মাঝে বলতেন তিনি ক্যাপ্টেন্সি ছাড়বেন। একপর্যায়ে এক ক্রিকেটার বলেই ফেলেছিলেন, ছাড়লে আগে ছাইড়েন যেন নতুন কেউ এলে সময় পায়। আমি কিন্তু দল গুছায়ে নিতে সময় পাইনি। মুশফিক ও রিয়াদ ভাইয়ের দলে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রেও আমার কোনো ভূমিকা ছিল না।’