দাম কমে যাওয়া ও শুটকির প্রধান উপকরণ লবণের দাম বাড়ার কারণে এখন বিলুপ্তির পথে সিরাজগঞ্জের শুঁটকি শিল্প। তারপরও চলনবিলে ব্যাপকভাবে স্বাদু পানির শুঁটকি মাছ তৈরি শুরু হয়েছে। তবে লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আশ্বিন থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত চলনবিলে চলে শুঁটকি তৈরি । এছাড়া নাটোরের শিংড়া, গুরুদাসপুর ও পাবনার চাটমোহরের আড়াই শতাধিক চাতালে শুঁটকি তৈরি হয়ে থাকে।
মাছ সংগ্রহের পর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রতি মৌসুমে ২৬ প্রজাতির দেড়শ’ থেকে দুশ’ মেট্রিক টন শুঁটকি তৈরি হয় এ অঞ্চলে। শুঁটকি তৈরির সাথে জড়িত রয়েছেন কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ।
শুঁটকি তৈরির প্রতিবন্ধকতা দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুের রহমান।
শুঁটকি মাছের বড় যোগান আসে চলনবিল থেকে। এ অঞ্চলের শুঁটকির ন্যায্য দাম পাওয়া গেলে চলতি মৌসুমে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার শুঁটকি বিদেশে রপ্তানী সম্ভব মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।