বলিউডে গান মানেই বিরাট আয়োজন। অসংখ্য নৃত্যশিল্পী নিয়ে ঝমকালোভাবে তৈরী হয় গান, হোক সেটা পার্টি সং কিংবা আইটেম সং। কোনো কোনো গানের জন্য খরচ হয় কয়েক কোটি টাকা! অথচ এখন থেকে বলিউডের গানে এতো লোকসমাগম করা যাবে না!
ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রথম সারির একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী করোনায় আক্রান্ত। বহু কলাকুশলীও সংক্রমিত হয়েছেন। আর তাই ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ শুটিং, প্রি-প্রোডাকশন এবং পোস্ট-প্রোডাকশনের এর নতুন গাইডলাইন দিয়েছে। যেখানে লোক সমাগম কমাতে গানের দৃশ্য কম লোকবল নিয়ে করার নির্দেশনা আছে।
ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী উদ্ধব ঠাকরের সাথে এফডব্লিউআইসিইর কর্মকর্তারা একটি জুম বৈঠক করেছিলেন। এফডব্লিউআইসিই মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছে যে এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি) সম্পর্কিত কোভিড নির্দেশিকাগুলো বিষয়ে ইন্ডাস্ট্রি দায়বদ্ধ থাকবে। বিশেষজ্ঞদের সাথে সমন্বয় করে এফডব্লিউআইসিই একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে যা প্রি-প্রোডাকশন, শুটিং এবং পোস্ট-প্রোডাকশন কাজের সাথে জড়িত সমস্ত ব্যক্তিকে মেনে চলতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে এফডব্লিউআইসিই নির্দেশনা জারি করে বলেছে, ‘এই দিকনির্দেশনাগুলোর কোনোটি নিয়েই আপোষ করা সম্ভব নয়।’ এই নির্দেশিকা এখন থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে।
১. কোনো দৃশ্যে জনসমাগম করা যাবে না এবং কোন গানে অধিক সংখ্যক নৃত্যশিল্পী রাখা যাবে না।
২. সেটে, প্রোডাকশন অফিসে এবং পোস্ট প্রোডাকশন স্টুডিওতে মাস্ক পরা, বার বার স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক।
৩. এফডাব্লিউআইসিই-এর একটি মনিটরিং টিম আছে। তারা সেট ও পোস্ট প্রোডাকশন স্টুডিওতে নিয়মিত পরিদর্শন করবেন। কোনো নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে দেখলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৪. এই নির্দেশিকা পালন করতে যদি কোনো ব্যক্তি বাধা প্রদান করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই নোটিশে আরও বলা হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে। এই সময়ে শুটিং, প্রি-প্রোডাকশন ও পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
ভারতে করোনায় সবচেয়ে সংক্রমিত রাজ্য মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে করোনার সংক্রমণ তীব্র রূপ নেয়ায় কর্তৃপক্ষ লকডাউন জারি করেছে।