মিরপুরে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের প্রথম ধাপের শেষদিনের অনুশীলন পরিকল্পনায় ছিল না মুশফিকুর রহিমের নাম। অথচ তিনিই কিনা সবার আগে চলে এলেন শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। ইনডোরে গিয়ে লম্বাসময় করলেন ব্যাটিং অনুশীলন।
অনুশীলনের জন্য হঠাৎ করে মুশফিকের মাঠে চলে আসার ঘটনা অবাক করেনি কাউকেই। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার হিসেবে সবাই তাকে চেনেন ও জানেন। শ্রাবণের অঝোরধারায়ও যিনি অবিচল থাকেন ফিটনেসের কাজে, রোদেলা সকালে সেই তিনি কী করে মাঠে না এসে থাকবেন!
খেলায় ফেরার দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও মুশফিক নেমে পড়েছেন নিজেকে শতভাগ তৈরির মিশনে। চার মাস ঘরবন্দি থাকার পর মি. ডিপেন্ডেবল গত সপ্তাহ থেকে পাচ্ছেন মাঠের সুবাস। অনুশীলনের সুযোগ উপভোগও করছেন দারুণভাবে।
মিরপুরে অনুশীলনে ফেরা গুটিকয়েক ক্রিকেটারের মধ্যে সুযোগ সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়েছেন মুশফিকই। ব্যাটিং, রানিং, কিপিং, সবই করেছেন অভিজ্ঞ টাইগার তারকা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ব্যবস্থাপনায় ব্যক্তিগত অনুশীলনের শুরুটা ১৯ জুলাই হলেও বৃষ্টির হানায় প্রথমদিকে কিছুটা বিপাকেই পড়তে হয়েছিল মুশফিক-মিঠুন-ইমরুল-শফিউল-তাসকিনদের।
টানা বর্ষণে কখনো ইনডোরে রানিং করতে হয়েছে, কখনো আবার বৃষ্টির মধ্যেই একাডেমি মাঠে দৌড়েছেন মুশফিক। রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ পেয়ে বাড়িয়েছেন ইনটেনসিটি। শনিবার স্টেডিয়ামের পুরো মাঠ বিরামহীন ১৪ বার প্রদক্ষিণ করেছেন মুশি। পরিশ্রমের ফল খেলা শুরু হলেই হয়ত পেতে থাকবেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
করোনাভাইরাসের কারণে সব যখন স্থবির তখনও ঘরে বসে মুশফিক ঝরিয়েছেন ঘাম। ঘরকে জিম বানিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি, ভিডিও পোস্ট করে প্রতিদিনের রুটিন দেখিয়েছেন সবাইকে।
ঘর কিংবা মাঠ, সবখানেই পরিশ্রমের দিক থেকে মুশফিক যে সবার সেরা সেটি প্রমাণ করছেন বারবার। পরিশ্রমের প্রতিফলন তার ব্যাটিংয়ে অতীতে দেখা গেছে। সামনেও হয়ত দেখা যাবে সমানতালে।