বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কার্যক্রমের পরিধি আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিস্তৃত বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, বিমান বাহিনীর রাডারটি সমুদ্র অঞ্চল ও সমগ্র মহীসোপান এলাকার বিমান সঠিক তথ্য প্রদান করবে। একই সঙ্গে চলমান বিমান নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হবে।
বুধবার দুপুরো কক্সবাজারের কলাতলী এলাকায় নতুন নির্মিত বিমান বাহিনীর কক্সবাজার এয়ার ডিফেন্স রাডার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের গরএ-২৯ যুদ্ধবিমান। সরকার এই বাহিনীর সাংগঠনিক উন্নয়ন এবং পেশাগত নৈপুণ্য বৃদ্ধির জন্য যুদ্ধবিমান ও প্রয়োজনীয় যুদ্ধ উপকরণ সংযোজনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় আজকের এ ৬ রাডার সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও নিরাপত্তায় আরও সক্রিয় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
যেকোনো বাহিনীর সাফল্যের জন্য পেশাগত দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। সুদৃঢ় মনোবল, কঠোর পরিশ্রম, কর্তব্যনিষ্ঠা, সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও দেশপ্রেমই আপনাদেরকে পেশাগত জীবনে উৎকর্ষের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। দেশসেবা এবং জনগণের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিঃস্বার্থ ও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাওয়ার অাহবান জানান রাষ্ট্রপতি।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো আব্দুল হামিদ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে এসে পৌঁছলে বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এসবার ও কক্সবাজার ঘাঁটির অধিনায়ক এয়ার কমডোর মো. পারভেজ ইসলাম তাকে স্বাগত জানান। সেসময় একটি চৌকষ কন্টিনজেন্ট রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।