চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিমান বন্দরে কীভাবে এরকম ঘটনা ঘটতে পারলো?

কারো কারো কাছে ছোট মনে হতে পারে, কিন্তু রোববার রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি গুরুতর। প্রকাশিত খবরে জানা যায়, দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তিন নম্বর বহির্গমন লাউঞ্জে এক যুবকের ছুরির আঘাতে এক আনসার সদস্য নিহত ও দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ওই যুবককে আটক করে। হামলাকারী যুবক বিমানবন্দরের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা এ কে ট্রেডার্সের গেঞ্জি পরে ঢুকলেও সে ওই প্রতিষ্ঠানটির কর্মী নয় বলে এপিবিএনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রতারণা করে সে ওই সংস্থার পোষাক সংগ্রহ করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই যুবক এখন কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাকে আসামী করে বিমান বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন আশরাফুল আলম নামে এক আনসার কর্মকর্তা। এজাহারে হামলাকারীর নাম শিহাব এবং স্থায়ী ঠিকানা রাজশাহী উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যা ঘটনার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে: বিমানবন্দরের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় যে কেউ কীভাবে প্রবেশ করতে পারে? তাও ছুরিসহ এবং যখন পশ্চিমা কয়েকটি দেশের তাগিদে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিদেশী সংস্থাকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। সবসময় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকা খোদ বিমান বন্দরেই যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে দেশের কোথায় আমরা নিরাপদ বোধ করবো? ঘটনার সময় বিমান বন্দরে অবস্থানকারী বিদেশীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হওয়া খুব স্বাভাবিক। যে বিদেশী নাগরিকরা ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেন তারা কী বার্তা পেলেন! বাংলাদেশে অবস্থান করতে তারা কতটা নিরাপদ বোধ করবেন? এমন সময়ে ঘটনা ঘটলো যখন বাংলাদেশ বহির্বিশ্বের কাছে নিরাপত্তা বিষয়ে এক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। কোন একটা দুর্ঘটনা ঘটার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী চিরুনি অভিযান চালায়। কিন্তু, আমরা অঘটন কেন আগেই ঠেকিয়ে দিতে পারি না? হামলাকারী যুবক বিমানবন্দরে ছুরি নিয়ে ঢোকার সময় কেন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লো না? আমাদের গলদ কোথায়। স্পর্শকাতর স্থানে যদি আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে বড় ঘটনা প্রতিরোধের উপায় কী? ছোট ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর করণীয় নির্ধারণ করা উচিত।