রোববার চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দিয়েছেন বেসরকারি পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
বিবৃতিতে তিনি বলেন: ‘বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি বিকেল ৫টা ১৩ মিনিটে ঢাকা থেকে যাত্রা করে। বিমানটি পূর্ব সিডিউল অনুযায়ী বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অবতরণের পূর্বে বিমানে যাত্রী বেশে এক অস্ত্রধারী আকস্মিক যাত্রীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ও চিৎকার করতে থাকে।’
বিমানে দায়িত্বরতদের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন: বিমানের কর্তব্যরত ক্যাপ্টেন অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা, পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার সাথে দুষ্কৃতকারীকে কথোপকথনে ব্যস্ত রেখে কালক্ষেপণ করেন। ইতিমধ্যে বিমানের ক্রুদের সহায়তায় বিমানের সকল যাত্রীকে নিরাপদে বের করে আনা হয়।
তিনি যোগ করেন: ঘটনা চলাকালে বিমানবাহিনী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের ত্বরিত ব্যবস্থায় যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমান্ডো ও র্যাবের একটি চৌকস দল বিমানবন্দরে অবস্থান নেয়। কমান্ডোরা বিমানের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ঝটিকা আক্রমণ করে দুষ্কৃতকারীকে নিষ্ক্রিয় করেন। একপর্যায়ে কমান্ডো অভিযানে গুলির আঘাতে ছিনতাইকারী আহত হয়, পরে মৃত্যুবরণ করে।
বিমানটির ১৪৮ জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রু সকলেই নিরাপদে ছিলেন এবং বিমানটি অক্ষত থাকে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।