যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে বিমানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশ থেকে আকাশ পথে সরাসরি পণ্য পরিবহনে সৃষ্ট জটিলতায় উদ্বিগ্ন সরকার। হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্যাম্প অফিস করছেন বিমানমন্ত্রী। এরকম অবস্থায় যুক্তরাজ্যের চাওয়া নিয়ে তাদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক। প্রথমে বৈঠকটি মন্ত্রণালয়ে এবং পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
বেলা ২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক কোনো কথা বলেননি। তবে অগ্রগতির খবর জানিয়েছেন বিমানমন্ত্রী।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, সর্ট টার্মে তারা কি চাচ্ছেন, মিড টার্মে কি চাচ্ছেন এর একটি তালিকা দিয়েছেন তারা। আমাদের এক্সপার্টরা বিকেলের মধ্যে সব ঠিক করে তাদের সঙ্গে বসবেন। বাইরের দেশের কোন সাহায্য লাগবে কিনা সে অনুসারে তারা ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
সংকট উত্তরণে আশাবাদী সরকার। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এটার তদারকি করবে। যাতে কোন সমস্যা থাকে তাহলে ব্রিটিশ হাই কমিশনের সঙ্গে পরবর্তীতে যোগাযোগ করব।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরাসরি বিমানবন্দরে যান মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা।