পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় একজন নিহত ছাড়াও আহত শতাধিক। সংঘর্ষের পর নির্বাচন বর্জন করেছেন বরগুনা সদরের আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী। ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
বিচ্ছিন্ন হলেও এরকম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বেশ কিছু জায়গায়। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া কলেজ কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে নুরুল আমীন নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি সাতকানিয়ার গোয়াজারপাড়ায়। নিহত নুরুল আমীনকে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দু’ দলই নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছে।
ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বরগুনাতেও ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনা। সেখানে গগণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষে প্রিজাইডিং অফিসার ও সাংবাদিকসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ কেন্দ্রে ব্যালটবক্স ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। আহত হয়েছেন বরগুনা সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামরুল হাসান মহারাজ।
মুন্সিগঞ্জের হাটলক্ষ্মীগঞ্জ, ইদ্রাকপুর ও পিটিআই ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মেয়র প্রার্থীসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন।
পটুয়াখালির কলাপাড়ায় সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে। সংঘর্ষে আহত অর্ধশত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জেও আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ হয়েছে। আহত হয়েছে ৩ জন।
চাঁদপুর মতলব পৌরসভার বাইশপুর এবং টাঙ্গাইলের মধুপুরেও এরকম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে পাবনার সুজানগরে সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জে। সংঘর্ষের পাশাপাশি কিছু জায়গায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের চরকুমিরায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংঘর্ষ, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে। হবিগঞ্জের জেলা পরিষদ কেন্দ্রে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণের কারণে ভোট গ্রহণ সাময়িক স্থগিত করা হয়।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার ভোট গ্রহণ চলছে। হামলায় আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম চঞ্চল ও শ্রমিক লীগ নেতা খায়রুল ইসলাম বাবলু। এছাড়াও মধুপুরে ১ জন আহত হয়েছেন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিলা কলেজ কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ২ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এক লাখ ১৭ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে।