বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আবারো বাড়ায় দেশের কোথাও বাঁধ উপচে আবার কোথাও বাঁধ ভেঙে নতুন করে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ। মাছের ঘের, ফসলি জমি ডুবে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে বানভাসী মানুষ। বন্যাদুর্গতরা পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত ত্রাণও।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে মাদারীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় আঁড়িয়াল খাঁ নদ ও পদ্মার মাওয়া পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটারের বেশি। মাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি বইছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে চলছে ভাঙনও। প্রতিদিনই নদীতে বিলীন হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা। জেলার শিবচরের কাজীরসূরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বিলীন হয়ে গেছে।
বন্যার পানিতে মাছের ঘের ডুবে যাওয়ায় মাদারীপুরে প্রায় বিশ কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছেন মৎস্যচাষীরা।
ভোলায় অতি জোয়ারে সদর উপজেলার দালাল বাজার এলাকায় বাধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে প্রায় অর্ধশত গ্রাম। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
টাঙ্গাইলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় বাড়ছে দুর্ভোগ। কয়েকদিন ধরে বাড়ছে যমুনা, ধলেশ্বরীসহ জেলার সব নদীর পানি। খাদ্য সংকট ও পানিবাহিত রোগে দুর্ভোগে পড়েছেন উপার্জন হারানো মানুষ।
সাতক্ষীরায় খোলপেটুয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। অমাবস্যায় নদীর পানি বেড়ে কয়েকটি এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকায় জেলার নিম্নাঞ্চল আবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। নিরাপদ পানির অভাব ও পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে বন্যাকবলিত মানুষদের।