রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দেশের যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজকাল প্রায়ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধের খবর প্রচারিত হয়। এতে অনেক যুবকের ভবিষ্যত নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সমাজে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ ব্যাপারে যুবসমাজকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে’।
রাজধানীর ওসমানী অডিটরিয়ামে ‘জাতীয় যুব দিবস-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, যুবকদের উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে। শুধু নিজে ভালো থাকলে চলবে না- অন্যরাও যাতে ভালো থাকে সে চেষ্টাও করতে হবে।
তিনি মাতা-পিতা এবং অভিভাবকদেরও তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা যাতে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার উপদেশ দেন। দেশের যুবসমাজকে অমিত সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ২০৪১ সালে দেশকে সুখী-সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করতে, দেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে যুবসমাজকে অগ্রসৈনিক হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে।
“দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে অব্যাহত উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। আর যুবসমাজ এ ক্ষেত্রে অগ্রসৈনিক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে”।
আবদুল হামিদ বলেন, সম্ভাবনার পাশাপাশি যুব সমাজের সামনে চ্যালেঞ্জও অনেক। এছাড়া দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কর্মসংস্থানের অভাব, অপরাধ ও সহিংসতা সমাজে বিশৃংখলা ও অস্থিরতার জন্ম দেয়।
তিনি বলেন, যাবতীয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, কর্মসম্পাদনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি সুযোগকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে যুব উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের অমিত সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে অবশ্যই উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন বিজ্ঞানমনস্ক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আগামীদিনে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে সে বিষয়ে আমার গভীর আস্থা রয়েছে’।
এসময় জাতীয় যুব দিবস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাতে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২৭ জনকে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান।