জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিবেকে ও মূল্যবোধ জাগ্রত করার মতো সৃজনশীল ও গঠনমুলক বই পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
শনিবার রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই-এর বাইরে, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সরকারের সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি এন্ড একসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কার্যক্রম। ঢাকা বিভাগের সেরা সংগঠকদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয় কেন্দ্রের মিলনায়তনে।
নাহিদ বলেন, শিক্ষকের সবচেয়ে বড় সাফল্য, শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলায়। সঠিক বই নির্বাচন ও তার পাঠাভ্যাস শিক্ষার্থীদের বিপথগামীতা থেকে রক্ষা করবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, উচ্চবিত্ত পরিবারের যারা ইসলামের নামে জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে, তারা ভুল শিক্ষা পাচ্ছে। ইসলামের নামে তাদেরকে ভুল শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ হত্যা করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যায় না। মানুষ হত্যা মহাপাপ। তাই শিক্ষার্থীদের বিবেক জাগ্রত করার মতো ভালো বই পড়তে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টানা ১০ দিন অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে খোঁজ খবর নেয়ারও পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, প্রত্যেক জাতির যে জাতীয় পতাকা থাকে সেই পতাকার নীচেই উন্মেষ ঘটে দেশপ্রেম। আর বই পাঠ মানুষকে নিজ দেশ, পতাকা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসাকে জাগিয়ে তোলে।
তিনি আরও বলেন, “একজন শিক্ষার্থী যদি ৮০টা বই পড়ে বেরোবে, তখন তার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে, তার হৃদয় উন্নত হবে। সে নিজেকে, দেশকে ভালোবাসতে শিখবে। পৃথিবীকে বড় করে দেখতে শিখবে।”
অনুষ্ঠানে পুরস্কারে ভূষিত করা হয় ১০ সেরা সংগঠককে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সেকায়েপ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মাহামুদ উল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।