ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তারকা প্রার্থীরা। তবে সবার ভাগ্যে জয় জোটেনি। ‘তারকা’ পরিচয় কাজে লাগেনি তাদের।
তারকা প্রার্থীদের হারের তালিকাটা বেশ বড়। পায়েল সরকার, রুদ্রনীল ঘোষ, অঞ্জনা বসু, সায়নী ঘোষ, পার্নো মিত্র, দেবদূত ঘোষ, তনুশ্রী চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পাপিয়া অধিকারী বা যশ দাশগুপ্ত— তালিকায় রয়েছে সব শিবিরের তারকা প্রার্থীরই নাম।
রাজনৈতিক কেরিয়ারের শুরুতেই বড় ধাক্কা খেলেন শ্রাবন্তী। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক হারে পেলেন শ্রাবন্তী। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিতর্কে থাকা নায়িকা হারলেন পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে।
বেহালা পূর্বতে তৃণমূলের প্রার্থী রত্না চ্যাটার্জির সঙ্গে হেরেছেন বিজেপির প্রার্থী টালিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার। রোববার ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, তৃণমূলের প্রার্থী ১৩ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১২ হাজার ৬৪০ ভোট।
হুগলীর চণ্ডীতলা বিধানসভা আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়েছেন টালিউডের তরুণ অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। চণ্ডীতলায় স্বাতী খন্দকার আগেও দু’বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তৃতীয়বারেও সেই জয়ের ধারা বজায় রাখলেন।
চুঁচুড়ায় বিধানসভার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অজিত মজুমদারের সঙ্গে হেরে গিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
কৌশানী মুখোপাধ্যায় হেরেছেন কৃষ্ণনগর (উত্তর) বিধানসভা আসনে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের কাছে।
বিজেপির হেবিওয়েট প্রার্থী গায়ক বাবুল সুপ্রিয় লড়েছেন টালিগঞ্জ থেকে। তিনি হেরেছেন তৃণমূলের হেবিওয়েট প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের কাছে।
অভিনেত্রী পার্নো মিত্র, তনুশ্রী চক্রবর্তী, অঞ্জনা বসু, রুদ্রনীল ঘোষরা এ বছরই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে, প্রার্থীও হয়েছেন। কিন্তু এরা প্রত্যেকেই হেরেছেন। ভোটপ্রচারে তাদের যাবতীয় চেষ্টাই জলে গিয়েছে।