বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনা আর কানাডাবাসীর অকৃত্রিম ভালোবাসায় পালিত হলো কানাডার ১৫৪তম জন্মদিন। বছরের বেশির ভাগ সময় বরফাচ্ছন্ন থাকা কানাডার জন্মদিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রতিবছর ব্যাপক আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদযাপন করে ‘কানাডা ডে’ । আর এর সঙ্গে যোগ হন প্রবাসী বাঙালিরাও।
আয়তনের দিক থেকে কানাডা ৯ হাজার ৯শত ৮৫ মিলিয়ন কিলোমিটার হলেও জনসংখ্যা মাত্র ৩৬ মিলিয়ন। যার রয়েছে ১০টি প্রভিন্স এবং ৩টি টেরিটোরিজ।
কানাডার ইমিগ্রেশন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী পাড়ি দেয় কানাডায়।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল কানাডা ডে’র কেক কাটা, ফায়ারওয়ার্কস, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা।
দিবসটি উপলক্ষে কানাডার ক্যালগেরির স্থানীয় জেনেসিস সেন্টার, প্রেইরি উন্ডসপার্ক, রকিভিউ অ্যালায়েন্স, ডাউন টাউনসহ ক্যালগ্যারির বিভিন্ন স্থানে বছর প্রচুর সংখ্যক লোকের সমাগম ঘটে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে গতবছর কানাডার কোনো প্রভিন্সেই কানাডা ডে উদযাপিত হয়নি। আলবার্টায় ১ জুলাই থেকে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখানে ইতোমধ্যেই ৭০% নাগরিককে টিকা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে কানাডার জনস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে দু’টি টিকা সম্পন্ন গ্রহণকারীরা এখন আলিঙ্গন করতে পারবে।
দিবসটি উপলক্ষে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং আলবার্টা প্রিমিয়ার জেসন কেনী পৃথক পৃথক শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন।
১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যেসব দেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল তাদের মধ্য অন্যতম দেশ কানাডা। সেই কানাডার জন্মদিনেই দেশটির আরও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি হোক, প্রচুরসংখ্যক বাঙালিরা এখানে এসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং প্রবৃদ্ধিতে বিরাট ভূমিকা রাখুক এমনটাই প্রত্যাশা এখানকার প্রবাসী বাঙালিদের।