ছুটির দিনের দুপুরে ঢাকা-কুমিল্লার লড়াই। হেভিওয়েট দুটি দলের ম্যাচে দর্শকে গ্যালারি পূর্ণ হতে সময় লাগেনি। তবে তাদের বিনোদিত করতে পারেনি হোম অব ক্রিকেট। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে যে ব্যাটসম্যানদের জন্য ছিল না কিছুই! আট দিন পর মিরপুরে ফিরল বিপিএল, লো-স্কোরিং এক ম্যাচ দিয়েই।
আগে ব্যাট করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস তুলতে পারে মাত্র ১২৭ রান। ছোট লক্ষ্যও টপকাতে পারেনি ঢাকা ডায়নামাইটস। হেরেছে ১ রানে। শেষ দিকে ম্যাচটা দারুণ জমে ওঠায় রানখরার আক্ষেপ কিছুটা কমেছে।
চট্টগ্রাম পর্বে যেভারে রানের উৎসব হয়েছে, তাতে বিপিএলের শেষপর্ব ঘিরে প্রত্যাশা বেড়েছে অনেক। বন্দরনগরীর মতো না হোক, টি-টুয়েন্টির আবেদন মেটাতে পারবে মিরপুরের উইকেট, অন্তত সপ্তাহখানেক বিরতির পর। তবে এমন আশার পালে আবারও বাধা হয়েছে উইকেট।
দেশি-বিদেশি তারকায় ঠাসা ব্যাটিংলাইন দুই দলেই। অথচ বল প্রতি রান নেয়াই হয়ে পড়ে কঠিন। টি-টুয়েন্টি ম্যাচে ওয়ানডের গতি! মিরপুরে বিপিএলে সবশেষ ম্যাচ হয়েছিল গত ২৩ জানুয়ারি। ৮ দিন বিশ্রাম পাওয়ার পরও উন্নতি হয়নি উইকেটের।
চট্টগ্রামে হয়েছে বিপিএলের ১০টি ম্যাচ। আগে ব্যাট করা দলের গড় রান ১৮৫। বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ (২৩৯) উপহার দিয়েছে জহুর আহমেদের উইকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরও (২৩৭) এসেছে ওই ১০ ম্যাচের মধ্যে। সেঞ্চুরি হয়েছে চারটি। একটি ম্যাচে কেবল প্রত্যাশিত রান ওঠেনি, সে ম্যাচ শুরুর আগে হয়েছিল বৃষ্টি। ভিজেছিল উইকেট।
চট্টগ্রাম যাওয়ার আগে মিরপুরে হওয়া ১৮টি ম্যাচে আগে ব্যাট করা দলের রান ২৭৬১। যেখানে গড় ১৫৩.৩৮। বিরতি দিয়ে বিপিএল মিরপুরে ফেরার শুরুর ম্যাচে হল আরও কম। মাত্র ১২৭। আর তা নিয়েই ম্যাচ জিতে নিল আগে ব্যাট করা দল।