চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট প্রচুর রান উপহার দিয়েছে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। বন্দরনগরী থেকে রাজধানী ঢাকায় আসরের ম্যাচ ফিরতেই দেখা গেল রানখরা। দেশি-বিদেশি তারকা ব্যাটারে ভরপুর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পারেনি দেড়শ ছুঁতে। মিরপুরে ফরচুন বরিশাল বোলাররা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের আটকে দিয়েছে ১৪০ রানে।
বিপিএলের শেষপর্ব শুরু হয়েছে ছুটির দিন শুক্রবার। যে কারণে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দেখা যায় দর্শক-ঢল। প্রচুর সমর্থন থাকলেও লালরঙা গ্যালারি অবশ্য খুব একটা মাতাতে পারেননি কুমিল্লা ব্যাটাররা।
উইকেটে দেখা যায় হালকা ঘাস। ভালো স্কোর না হওয়ার পেছনে ২২ গজের পাশাপাশি কুমিল্লার ব্যাটারদেরও দায় আছে। কেননা উইকেট বিলিয়ে এসেছেন লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, আন্দ্রে রাসেলরা। খেলতে পারেননি নিজেদের সেরাটা।
মিরপুরে শুরু থেকেই চলছে রানখরা। আগের দুই পর্বের ম্যাচগুলোতেও দেখা গেছে অসংখ্য লো-স্কোর। দেড়শ রান তুলতে পারলেও তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন খেলোয়াড়রা। প্লে-অফের লড়াই শুরুর আগে লিগপর্বের শেষ দিনের দুপুরের ম্যাচে প্রাথমিক সে লক্ষ্যও পূরণ করতে পারল না কুমিল্লা। শেষদিকে নামা জাকের আলির ১৬ বলে ৩৮ রানের ক্যামিও দলকে নিয়ে যান দেড়শর কাছে।
গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের অল্পরানে আটকে রাখার কৃতিত্ব তাইজুল-ম্যাকয়-সাইফউদ্দিনদের। বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে শুরু থেকেই রানের লাগাম টেনে রাখে তারা। পাওয়া প্লে’র ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি কুমিল্লা। দলীয় একশ ছুঁতে লেগে যায় ১৭.২ ওভার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলেই প্রতিপক্ষকে নাগালের মধ্যে আটকে রাখতে পেরেছে বরিশাল। কুমিল্লার ৮ উইকেট তুলে নেয় তারা।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুই স্পেলেই করেছেন দুর্দান্ত বোলিং। প্রথম ২ ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। স্লগে এসে শেষে দুই ওভারে তুলে নেন দুটি উইকেট। ৪ ওভারে মোট খরচ করেন ১৮ রান।
ক্যারিবিয়ান পিঞ্চ হিটার আন্দে রাসেলকে দ্রুত সাজঘরে পাঠিয়ে ম্যাচ ঘোরাতে দেননি তাইজুল ইসলাম। এ বাঁহাতি স্পিনার ৩ ওভারে ২০ রানে নেন তিনটি উইকেট।