চট্টগ্রাম থেকে: কোথাও কোন ব্যানার নেই। নেই রংয়ের ছটা। জিইসি মোড় থেকে সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পর্যন্ত আসতে বোঝাই গেল না এই শহরে বিপিএল এসেছে। বন্দরনগরীর আরেক ভেন্যু এমএ আজিজ স্টেডিয়াম। সেখানে খেলা হবে না, তবে টিকিট বিক্রি চলছে। সেখানে কাউন্টারে ঢুঁ মারতেই চোখে পড়ল ‘লম্বা’ একটা লাইন। এই লম্বা চিরপরিচিত লম্বা নয়। বড়জোর শ’চারেক মানুষের অপেক্ষা। তবে ভেতরে ভেতরে বিভিন্ন উপায়ে ছুটির দিনের টিকিট ঠিকই বিক্রি হয়ে গেছে!
বেলা দশটা নাগাদ এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের কাউন্টারে এমন চিত্র চোখে পড়েছে। টিকিট পেতে ভোগান্তি হবে দেখে রাত বারোটার দিকে লাইনে দাঁড়ান ছোটপোল এলাকার তরুণ আরমান। টিকিট বিক্রি শুরু হতেই সবার আগে দুটি পকেটে পুরে ঘুমঘুম চোখে বাড়ির পথ ধরলেন। যাওয়ার আগে বলে গেলেন, ‘শুধু-শুধু এত রাতে এসেছিলাম।’
সবচেয়ে অবাক করার বিষয়, ম্যাচের একদিন আগেও সাগরিকার স্টেডিয়াম এলাকায় এতটুকু সাজসজ্জা নেই। মাঠসজ্জার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেন, যতক্ষণে ডিজাইন পেয়েছেন, কাজ গুছিয়ে নিতে একটু সময় লাগছে। বিকেল নাগাদ পরিবেশ পাল্টে যাবে।
বৃহস্পতিবার বুথ থেকে টিকিট দেয়া শুরু হয় সকাল ১০টায়। কাউন্টার খোলা থাকবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ও ছাদের টিকিটের দাম ২০০০ টাকা। ক্লাব হাউস ৫০০ টাকা। পশ্চিম গ্যালারি ৩০০ ও পূর্ব গ্যালারি ২০০ টাকা। ২৪ থেকে ২৯ নভেম্বর এখানে ১০টি ম্যাচ হবে।
শুক্রবার দুটি ম্যাচ। স্থানীয় সময় দুপুর দুইটায় মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স এবং খুলনা টাইটানস। সন্ধ্যা সাতটার ম্যাচে স্বাগতিক চিটাগং ভাইকিংস লড়বে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে।
বিপিএল ঘিরে চট্টলাবাসীর আগ্রহ কেন কম, এমন প্রশ্নের উত্তরে বেশিরভাগ মানুষ পয়েন্ট টেবিলে চিটাগাংয়ের অবস্থান নির্দেশ করছেন। একইসঙ্গে ঘরের ছেলে তামিমের অন্য দলের খেলাও বড় একটা কারণ।
তামিম ইকবাল খেলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। সাত দলের মধ্যে চিটাগং এখন পর্যন্ত সবার নিচে। ছয় ম্যাচের মধ্যে তারা জয় পেয়েছে একটিতে।