ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মানেই বিদেশি ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা। সাফল্যের সোপান হিসেবে দেখা হয় তাদের। যদিও বাস্তবে পার্থক্য গড়ে দেন স্থানীয় ক্রিকেটাররাই। বিপিএলে সেটি বেশি করেই প্রযোজ্য। অতীতে স্থানীয়দের কাঁধে ভর করেই অনেক সাফল্য এসেছে। বিপিএলের আরেকটি আসর শুরুর আগে স্থানীয় ক্রিকেটারদের গুরুত্ব ও সেই অবদানের কথাই মনে করিয়ে দিলেন খুলনা টাইটানসের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
‘পুরো দলের সাপোর্ট ছাড়া কখনো রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব হয় না। যদিও গত বছরটা আমাদের ভালো গিয়েছে। এ বছর আমরা বিদেশি বেশকিছু ভালো মানের খেলোয়াড় নিয়েছি। আশা করি টিম হিসেবে আমরা ভালো কিছুই দিতে পারব। তবে এমন টুর্নামেন্টে স্থানীয় খেলোয়াড়দের দায়িত্বটা খানিকটা বেশি থাকে। আমার বিশ্বাস ভালো কিছু স্থানীয় খেলোয়াড়ও দলে ভেড়াতে পারব আমরা। ওদের অবদান যদি ভালো থাকে, ভালো কিছুই হবে। বিপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিপিএল সফল করার জন্য, দেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য স্থানীয়দের ভালো খেলাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
বিপিএলের পঞ্চম আসর শুরু হবে ৪ নভেম্বর। তার আগে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। বিদেশি ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর কাজ এখনই শুরু করে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যারমধ্যে অগ্রগণ্য খুলনা টাইটানস। সাতজন বিদেশি ক্রিকেটার এরইমধ্যে দলে টেনেছে তারা।
গত আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খানকে ধরে রেখেছে খুলনা। পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, সাদাব খানকেও নিয়েছে তারা। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস লিন, সাউথ আফ্রিকার কাইল অ্যাবোট, রিলি রুশো ও শ্রীলঙ্কান সেকুগে প্রসন্ন নাম লিখিয়েছেন টাইটানসে। কোচ হিসেবে আছেন লঙ্কান কিংবদন্তি মাহেলা জয়বাবর্ধনে।
বিপিএলে প্রথমবার নেমেই চমকে দিয়েছিল খুলনা। মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে শিরোপার স্বপ্ন জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে দলটি।
গত আসরের টুর্নামেন্ট সেরা মাহমুদউল্লাহকেই এবারও অধিনায়ক হিসেবে রাখছে টাইটানস ফ্যাঞ্চাইজি। দলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ বুধবার সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানালেন।
মাহমুদউল্লাহকে অধিনায়ক করার কারণ ব্যাখ্যা তিনি বললেন, ‘আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার অধিনায়কত্ব অসাধারণ। সবাইকে একসঙ্গে করে লড়াই করার অসাধারণ দক্ষতা আছে তার। সত্যিকার টিমপার্সন সে। যেকোন ভাবে অবদান রাখার মানসকিতা তার মধ্যে আছে। উদাহরণ দিয়ে বলি, দলের প্রয়োজনে টেস্টে একবার কিপিং করছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তার একটি স্ট্যাম্পিংও আছে। দলের জন্যই তিনি খেলেন।’
গত বছর ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান মাহমুদউল্লাহ। হন টুর্নামেন্ট সেরা। অন্য কেউ দলের হয়ে সেভাবে হাল ধরতে পারেননি। আরেকটি আসর শুরুর আগে মনে করিয়ে দিলেন দল হিসেব পারফর্ম করার গুরুত্বের কথা।
সঙ্গে কোচ হিসেবে লঙ্কান কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনেকে পেয়েও উচ্ছ্বসিত মাহমুদউল্লাহ, ‘মাহেলার মতো কিংবদন্তি একজন আমাদের দলের কোচ হিসেবে এসেছেন। এটা আমাদের দলকে আরও বেশি গতিশীল করবে। আমি খুব রোমাঞ্চিত মাহেলার সঙ্গে কিছুদিন কাটাতে পারব। তার দেশের হয়ে তিনি অসাধারণ কিছু অর্জন রেখে গেছেন। আমাদের দলের তরুণ ক্রিকেটারদের তার অর্জনগুলো শেখাতে পারবেন। আশা করি তার সঙ্গে সময়গুলো দারুণভাবে কাটবে।’