বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদী
পড়েছে চরম বিপর্যয়ের মুখে। সংকটাপন্ন এ নদীকে নিয়ে চ্যানেল আই-এর হৃদয়ে
মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন প্রচারের পর নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রামবাসী।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতায় চরম হুমকির মুখে বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী।
অনন্যা অবাসিক এলাকার অপরিকল্পিত উন্নয়নে পুরানো একটি খাল বন্ধ করে বামুন শাহী খাল ও কুয়াইশ খাল সংযুক্ত করে দেয়ায় প্রতিদিন হালদা নদীতে পড়ছে টেনারীর বিষাক্ত বর্জ্য।
অন্যদিকে ড্রেজার দিয়ে হালদা নদীথেকে প্রতিদিন শত শত টন বালি তুলে নিচ্ছে একটি কুচক্রিমহল। এই পরিস্থিতিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, হালদা নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা বললেও, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হালদানদী ধ্বংসের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
হালদা রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, আমি বলবো এটা অপরিকল্পিত উন্নয়ন।এ অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফসল হচ্ছে আজকের এ বিপর্যয়। এখনও সময় আছে, যেহেতু এখানে আবাসিক এলাকা হয় তাহলে হালদা বুড়িগঙ্গার চেয়েও খারাপ হয়ে যাবে।
নদী রক্ষা কমিশনের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, হালদা নদীর এই করুণ অবস্থার কথা স্বীকার করে এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও নদী রক্ষা কমিশনের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হালদা নদীকে নানা ভাবে অত্যাচার করা হয়। স্থানীয় লোকেদের ভুলেই এটা হচ্ছে। এখান থেকে বালি উত্তোলন কিন্তু বাইরের লোকেরা এসে করে না। দুই পাড়ে যারা প্রভাবশালী লোক তারাই এর সঙ্গে যুক্ত।
বর্তমান এ পরিস্থিতিতে এ বছর হালদানদীতে মা মাছ ডিম ছাড়েনি বললেই চলে, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।