চট্টগ্রাম থেকে: তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের গড়ে দেয়া ভিতের উপর দাঁড়িয়ে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে লিটন দাসের চতুর্থ উইকেট জুটির অসাধারণ ব্যাটিং চালকের আসনে নিয়ে যায় স্বাগতিকদের। শ্রীলঙ্কার বোলারদের উপর যখন আরেকটু চড়াও হয়ে দ্রুত রান তুলে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের আশা জাগাবেন, তখনই ব্যক্তিগত ৮৮ রানে আউট হন লিটন।
তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শুরুর প্রথম দুই বলে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিক সেঞ্চুরি পথে আগান খুব ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে। শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ টপকে বাংলাদেশ ৬৮ রানের লিড পেলেও আশাটা ছিল আরও বড়। ৩ উইকেটে ৩৮৫ থেকে বাংলাদেশ শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে যোগ করে মাত্র ৮০ রান।
চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে অধিনায়ক মুমিনুল হক আক্ষেপ করে জানালেন, লিটন অসময়ে আউট না হলে তারা আরও আগ্রাসী হতে পারতেন। বিপদে পড়ার ভয়েই তাড়াহুড়ো করেনি দল।
‘যদি আপনি পাঁচ দিনই খেলা দেখেন, ওদের আর আমাদের, এই উইকেটটা এমন একটা উইকেট ছিল যেখানে টিকে থাকতে পারবেন। কিন্তু যদি বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে যান তাহলে উইকেট পড়ার সম্ভাবনাটা কিছুটা বেড়ে যাবে। যেটা আমার কাছে মনে হয়। আর ওই সময়টাতে লিটন যদি আউট না হতো, তাহলে সুযোগটা (দ্রুত রান তোলা) আমরা নিতে পারতাম। কিন্তু সেই চান্সটা নিতে গিয়ে আমরা আর্লি উইকেট হারিয়েছিলাম।’
‘লিটন যদি আরও এক ঘণ্টা মুশফিক ভাইয়ের সাথে খেলতে পারত, তাহলে হয়ত আমরা জিনিসটা অন্যরকম করতে পারতাম। এই উইকেটে এক হতে পারে, কিন্তু রানের গতি বাড়াতে গেলে সেটিতে আউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।’
অবশ্য ধীরগতিতে রান তুলেও উইকেট অক্ষত রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ধীরগতির ফর্মুলা কাজে আসেনি। শেষের সাত উইকেট পড়েছে একশ রানের মধ্যেই।